করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে দেওয়া লকডাউনের মধ্যে বিধি-নিষেধ অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলেন- এই অপরাধে পুলিশ তাঁর মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। জব্দ করা মোটরসাইকেল ছাড়াতে ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে ওই পুলিশ স্টেশনেই নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) রাজধানী কাম্পালা থেকে ৮০ মাইল দূরের শহর মাসাকার এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হোসেইন উয়ালুগেমবির নামের ওই যুবকের মৃত্যুর পর উগান্ডার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নতুন করে আলোচনায় এসেছে পুলিশের নৈতিক অবস্থান নিয়েও।
আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র নবুগা মোহাম্মদ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যার কারফিউ চলছে সেখানে; এর মধ্যেই ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী এক যুবক। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন তার সঙ্গে থাকা আরেকজন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার জব্দ করা মোটরসাইকেলটি নিতে পুলিশ স্টেশনে এসেছিলেন এই যুবক। এ সময় পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ। এর পরই পুলিশ স্টেশনেই গায়ে আগুন দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার সময় পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জড়িয়ে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছেন হোসেইন। তবে ওই কর্মকর্তা সামান্য আহত হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন। ঘুষ চাওয়ার অপরাধে দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। উগান্ডা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আফ্রিকার অন্যতম কঠোর লকডাউন বাস্তবায়িত করেছে এবং সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম রাখতে পেরেছে। দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারেরও কম। একজনেরও মৃত্যু হয়নি।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স।
Development by: webnewsdesign.com