আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও গন্তব্য মাত্র দুটি

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও গন্তব্য মাত্র দুটি

প্রতীক্ষার পালা শেষ হলেও আশা পূরণ হলো না। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও গন্তব্য মাত্র দুটি। লন্ডন আর দোহা। তাও আবার লন্ডন ফ্লাইট এখনই নয়। শুধু দোহা রুটেই পাখা মেলছে যাত্রিবাহী ফ্লাইট। প্রাণঘাতি মহামারির ধকলে পাখা ভেঙে যাওয়া বিমান আবার ওড়ার সুযোগ পাচ্ছে ৮৬ দিন পর। তবে আকাশ মুক্ত নয়, আছে বিভিন্ন দেশের নানা নিষেধাজ্ঞা।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছে। আছে আক্রান্ত দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা যে তালিকায় বাংলাদেশও আছে। আবার বাংলাদেশও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান চলাচলে নিশেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা না উঠলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও যোগ হবে না নতুন গন্তব্য।

বেবিচকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিমানবন্দরে সামাজিক দূরত্ব মেনে ফ্লাইট পরিচালনার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। পুরো বিমানবন্দর এখাকা জীবানুমুক্ত করা হয়েছে। আমরা যাত্রীদেরও সহযোগিতা চাই।’

তিনি জানান, আজ রাতে শুধু কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট দিয়ে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। জনবহুল স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ফুট মার্কিং করা, হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থা, বিমানবন্দরে ঢোকার আগে ডিসইনফেকশন চেম্বার, থার্মাল চেক পয়েন্ট স্থাপন করা করা হয়েছে। যেসব যাত্রী আসবেন তাদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে।

বেবিচক সূত্র জানায়, আপাতত কাতার অভিমুখে বিমান উড়লেও কাতারে কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে পারবে না। অন্য দেশে যাওয়ার ট্রানজিট হিসেবে সেখানকার বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কাতার এয়ারওয়েজ।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২১ মার্চের শেষ দিকে চীন ছাড়া সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় সিভিল এভিয়েশন। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ রাখার পর ১ জুন থেকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতের ৩৫টি নির্দেশনা জারি করে শুধুমাত্র আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান যাতায়াত শুরু হয়ছিল।

এদিকে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রয়োজন হবে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ। দেশে প্রবেশের ৭১ ঘণ্টা আগে করোনা আক্রান্ত নন এমন সনদ নিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরুর প্রাক্কালে এমন আদেশ দিলো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সার্কুলার পৌঁছে দিয়েছে বেবিচক। বিবেচক বলেছে, ১৬ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেশগুলোর শিডিউল কোনো প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট বাংলাদেশে আসবে না। তবে বিশেষ ফ্লাইট (চার্টার) ও কার্গো ফ্লাইট আসতে পারবে। এসব দেশ ছাড়া অন্য দেশের প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট এবং এসব দেশ থেকে আসা বিশেষ ফ্লাইটে যারা দেশে ফিরবেন তাদের করোনা টেস্টের ফলাফল এবং সার্টিফিকেট আনা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়; ফলাফল নেগেটিভ আসতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, যাত্রী যে দেশের নাগরিকই হোক না কেন ‘করোনা নেগেটিভ’ সম্বলিত মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা থাকতে হবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় এটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। তবে যদি কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই সার্টিফিকেট ছাড়া দেশে ফেরেন তাহলে বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।

Development by: webnewsdesign.com