করোনাভাইরাসের নির্দিষ্ট ওষুধ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কিছু ওষুধে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আশার আলো দেখে সেই ওষুধগুলো নিয়েই গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।

এবার করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারে ফের অনুমোদন দিতে চলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই দুটি ওষুধ নিয়ে আলোচনা চলছে। একটি হল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অপরটি অ্যাজিথ্রোমাইসিন। এই দুটি ওষুধের মিশ্রণে হাসপাতালে ভর্তি প্রবলভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর ভালো ফল হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। এই দুই ওষুধকেই মাস দুয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এই দুই ওষুধের মিশ্রণ বিস্ময়কর সাফল্য আসতে পারে। মার্কিন গবেষকরা দুটি ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছেন।’

অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মিশ্রণে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় এর আগে অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। খুব শিগগিরই এই দুই ওষুধের ব্যবহারের নতুন প্রোটোকল আনতে চলেছে দেশটির সরকার।

AIIMS-এর মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক নভীত উইগের কথায়, ‘মাঝারি ও আশঙ্কাজনক রোগীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অক্সিজেনেশন বা শরীরে অক্সিজেনের জোগান। অ্যান্টি-ভাইরালে করোনাভাইরাস আক্রান্তে প্রয়োগ খুব একটা আশাজনক ফল মেলেনি। তবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মিশ্রণের ফল নির্ভর করছে কেস-টু-কেস। তাই ওষুধ দুটির ব্যবহারের গাইডলাইন জরুরি।’

তার বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে কিছু ক্ষেত্রে অ্যাজিথ্রোমাইসিন রোগীকে দেওয়া হয়েছিল, কারণ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কিছু রোগীর মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল। তবে বেশি জরুরি অক্সিজেনেশনের।

অ্যাজিথ্রোমাইসিন কী?

অ্যাজিথ্রোমাইসিন হল একটি অ্যান্টিবায়োটিক। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে এটি ব্যবহার করা হয়। যেমন- নিউমোনিয়া, কিছু যৌন মিলন বাহিত রোগ, ব্রঙ্কাইটিস বা কান, গলা, ফুসফুসে কিছু সংক্রমণ ইত্যাদি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন জানিয়েছে, এই ওষুধ সর্দি-কাশির মতো ভাইরাল সংক্রমণজনিত অসুখে কাজ করে না। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, জিকা ও ইবোলার মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধটি কাজ করছে।

সূত্র: নিউজ এইটটিন