লকডাউনে মালয়েশিয়ায় যেভাবে অতিবাহিত হলো প্রথম রোজা

শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

লকডাউনে মালয়েশিয়ায় যেভাবে অতিবাহিত হলো প্রথম রোজা

মালয়েশিয়ায় গত কাল থেকে শুরু হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। অনেকটাই নীরবেই কেটে গেলো এবারের রমজানের প্রথম দিনের ইফতার। প্রতি বছরের ন্যায় এবার চিরচেনা সেই দাতারান মারদেকায় (স্বাধীনতা চত্বর) ছিলো না রোজাদারদের পদচারণা। কেএলসিসি পার্ক আর কুয়ালালামপুরের হৃদয় খ্যাত বুকিত বিন্তাংও ফাঁকা। লকডাউনের কারণে মাহে রমজানের প্রথম রোজার ইফতার ভোজনরসিক মালয়েশিয়ানদের নিজ নিজ ঘরেই সারতে হয়েছে।

প্রতি বছর রমজান আসলেই যেখানে কুয়ালালামপুরের আশপাশের এলাকাগুলো বিশেষ করে দাতারান মারদেকায় খোলা চত্বর বিকাল থেকেই শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, যুবক ও যুবতীর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠতো । প্রতিটি স্থানে স্থানে বসতো ইফতার বাজার বা ইফতার মেলা । বেশিরভাগ মালয়দের পছন্দ খোলা জায়গায় পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতার করা। এবার করোনা তা হতে দেয়নি। সরকারি নির্দেশনার কারণে ইফতার এবং তারাবিহ নামাজ বাড়িতেই সারতে হচ্ছে তাদের । চারিদিকে এখন শুধু সুনসান নীরবতা ।

কোভিড- ১৯ প্রতিরোধে দেশজুড়ে জারিকৃত মানুষের অবাধ চলাচল সংক্রান্ত বিধি-নিষেধের কারণে দেশটিতে কোনো ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক জনসমাবেশ আয়োজনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই অনেকটা ঘর বন্দী অবস্থায় কাটবে তাদের রোজার বাকিদিনগুলোও।

এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে এখন কর্মহীন। অনেকের হাতেই নেই এবার টাকা পয়সা । তাদের বিশাল একটা অংশ এখন এখানে ভুগছেন খাদ্য সংকটে । এবারের রমজানে পরিবারের জন্য টাকাও পাঠাতে পারেননি অনেকে। প্রবাসীদের ইফতারের জন্য পছন্দের জায়গা নিজ নিজ গৃহ। রুমের সকলকে নিয়ে তারা ইফতারি করতে বেশি পছন্দ করেন । এলাকায় এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশি দোকানপাট থাকায় বেশিরভাগ প্রবাসীদের ইফতারি কেনা হতো স্বদেশীর দোকান হয়ে দেশীয় স্বাদের ইফতারি । করোনার কবলে পড়ে এবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেরও যেমন ব্যবসা মন্দা তেমনি হাতে টাকা না থাকায় অনেক প্রবাসীর কাছে ইফতারও অনেকটা সোনার হরিণ । তাই রমজানের প্রথম ইফতারি হাতেগোনা কিছু প্রবাসীর ভালো কাটলেও বেশিরভাগ প্রবাসীর কেটেছে অনেকটা খেয়ে না খেয়ে ও বিষাদে ।

Development by: webnewsdesign.com