অভিনেতা আরিফিন শুভ কথা দিয়েছিলেন ঈদুল আজহায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করবেন একটি বিশেষ তথ্যচিত্র। কিন্তু ঈদের পর এক মাস কেটে গেল এখনো শুভর সেই ‘বিশেষ চমক’–এর দেখা নেই। কেন কথা রাখতে পারেননি এই তারকা? এই প্রশ্নের জবাবসহ আরও অনেক নতুন তথ্য জানালেন শুভ।
মিশন এক্সট্রিম ছবির জন্য তাঁকে ৯ মাস রাত–দিন এক করে শরীরের গড়ন ভেঙে আবার গড়তে হয়েছে। প্রশিক্ষণ করতে হয়েছে সকাল থেকে রাত অবধি। শারীরিক গড়ন তৈরির নয় মাসের সেই সংগ্রামী সফরটাকেই শুভ দিয়েছেন তথ্যচিত্রের রূপ। কথা ছিল ঈদুল আজহার পরপরই এটি ঈদের ‘বিশেষ চমক’ হিসেবে আসবে দর্শকের সামনে। সবকিছু ঠিক থাকলেও এখন অপ্রকাশিতই থেকে গেল সেই তথ্যচিত্র। কেন? চিত্রনায়ক শুভর মুখেই শুনুন—‘ঈদে মুক্তির জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ঈদের আগে আমার মায়ের শরীর খারাপ হয়ে যায়। তখন হাসপাতালে দৌড়াতে হয়েছে। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে ভীষণ মানসিক চাপে ছিলাম।’ শুভ জানালেন, এখন তাঁর মা আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ। তাই সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই তথ্যচিত্রটি আলোর মুখ দেখবে বলে জানান তিনি।
এখন তো ওয়েব সিরিজ মুড়ি খাওয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে। চারদিকে সবাই ওয়েবের জন্য কনটেন্ট বানাচ্ছে। এত ওয়েব কনটেন্ট হচ্ছে, কিন্তু কয়টি আদৌ মানসম্মত হচ্ছে?’ বর্তমানে দেশের ওয়েব কনটেন্ট প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন আরিফিন শুভ। যেহেতু প্রেক্ষাগৃহের তালা কবে নাগাদ খুলবে, তার কোনো ঠিক নেই, তাই চলচ্চিত্রের অনেক তারকা এই সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছেন ওয়েব কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। কিন্তু শুভ সিনেমার মতো করে ওয়েবজগতেও একটু সময় নিয়ে কাজ করতে চান। সিনেমার বেলায় যেমন এই তারকা একসঙ্গে একের বেশি কাজ হাতে নেন না, ওয়েব সিরিজ বা ফিকশনেও এই নীতি মেনে চলতে চান তিনি।
শুভ জানান, ওয়েবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এখানেও আমি সময় নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই তো নভেম্বর থেকে একটি ভারতীয় ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম প্রযোজিত ছবির কাজ শুরু করার আগে তিন মাস ধরে সেই চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন শুভ। এই সময়ের মধ্যে জড়াচ্ছেন অন্য কাজে। শুভ বলেন, ‘আমি একের পর এক কাজ করতে চাই না। নিজেকে ও নিজের চরিত্রকে একটু সময় দিতে চাই।’
আপাতত সময়ের কোনো অভাব নেই। যেখানে সিনেমা হলেরই বাতি জ্বলছে না, সেখানে ছবি মুক্তিরও তো তাড়া নেই। তাই শুভ তাঁর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আগে তথ্যচিত্রের মুক্তি নিয়েই বেশি রোমাঞ্চিত। কারণ সত্যিকার অর্থেই এটা তাঁর ঘাম আর রক্ত ঝরানো কষ্টের ফসল।
Development by: webnewsdesign.com