চিত্রনায়িকা পপির জন্মদিন আজ

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২:২৭ অপরাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পপির জন্মদিন আজ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপির আজ জন্মদিন। ১৯৭৯ সালের আজকের এই দিনে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পপি। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি বড়।

জন্মদিন প্রসঙ্গে পপি সাংবাদিকদের, আরও একটি বছর জীবন থেকে চলে গেল। এভাবেই হয়তো সামনে চলতে থাকবে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ঢাকায় আসলাম চারদিন হলো। সবার দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে এ অসুখ থেকে মুক্তি পেলাম। এখন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ করছি। সবার কাছে দোয়া চাই।

জন্মদিনের আয়োজন সম্পর্কে পপি বলেন, এবারে মহামারির মধ্যে জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। প্রতিবন্ধী শিশু, বন্যাকবলিত অসহায় মানুষ ও করোনাতে দুর্দিনের মুখোমুখি এমন কিছু মানুষকে হেল্প (সাহায্য) করব। এই টাকাটা হয়তো তাদের উপকারে আসবে। তবে একটি মিলাদের আয়োজন রেখেছি। দেশের এবং পৃথিবীর সামগ্রিক অবস্থা মিলিয়ে খুবই খারাপ। তাই সবকিছু থেকে আল্লাহ যেন আমাদের রক্ষা করেন সে প্রত্যাশায় মিলাদ।

মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন পপি। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত আমার ঘর আমার বেহেশত ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কুলি। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই চলচিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানি। ছবিটি সেই সময়ে ৭ কোটি টাকা ব্যবস্যা করে মাইলফলক করে।

এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে বিদ্রোহ চারিদিকে, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে কে আমার বাবা ও লাল বাদশা, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ক্ষেপা বাসু ও বাবুল রেজা পরিচালিত ওদের ধর ছায়াছবিগুলো ব্যবসাসফল হয়।

২০০৩ সালে অভিনয় করেন কালাম কায়সার পরিচালিত কারাগার ছায়াছবিতে। এতে এক টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে কথাসাহিত্যিক আসকার ইবনে শাইখ রচিত গল্প অবলম্বনে স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভির প্রথম প্রযোজিত ছায়াছবি বিদ্রোহী পদ্মায় তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। এই বছর আরও মুক্তি পায় ফেরদৌসের বিপরীতে সামিয়া জামান পরিচালিত রানীকুঠির বাকী ইতিহাস। ২০০৮ সালে নারগিস আক্তার পরিচালিত এইডস বিষয়ক সচেতনতামূলক ছায়াছবি মেঘের কোলে রোদ ও চন্দন চৌধুরী পরিচালিত কি যাদু করিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মেঘের কোলে রোদ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি অর্জন করেন দ্বিতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রের জন্য তৃতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে মোট পাঁচবার বাচসাসের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনের নাটকে ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন মেজবাহ শিকদার পরিচালিত গোধূলির দেখা আলো নাটকে। ২০১৩ সালের ঈদে বাংলাভিশনের জন্য নির্মিত আমি ভালোবাসিনি টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ এবং তার বিপরীতে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। ২০১৪ সালে রেজানুর রহমানের নির্দেশনায় নোটবুক টেলিফিল্মে একজন বিবাহিত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।

এছাড়া অভিনয় করেছেন বি ইউ শুভ্র পরিচালিত নবনীতা তোমার জন্য ও নীল কষ্ট খণ্ড ধারাবাহিকে এবং প্রহর ও পলাশপুরের মেহেরজান টেলিফিল্মে। ২০১৫ সালের ঈদুল আযহা উপলক্ষে একুশে টেলিভিশনের জন্য নির্মিত এক্সপ্রেশন অব লাভ টেলিফিল্মে অভিনয় করছেন। মডেলিং ২০১৫ সালের শেষের দিকে ১ বছরের চুক্তিতে রোমানিয়া বিস্কুটের ব্রান্ড এম্বাসেডর হন। এ সময় তাকে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নির্দেশনায় রোমানিয়া বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে দেখা যায়।

Development by: webnewsdesign.com