পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম বেড়েছে..

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম বেড়েছে..

বছরের পর বছর লোকসান গুনছে, দিতে পারছে না বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ। তবে থেমে নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। গত দুই মাসের কম সময়ে কোনো কোনো শেয়ারের দাম ছয় গুণ পর্যন্ত হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতি ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারকে লাল তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে। সেইসাথে বিনিয়োগকারীদের বুঝে শুনে ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

করোনা সংক্রমণ রোধে দুই মাসের বেশি সময় চলা সাধারণ ছুটির পর পুঁজিবাজার চালু হয় মে মাসের ৩১ তারিখে। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেও কোনো কোনো শেয়ারের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মেঘনা মিল্ক ও মেঘনা পেট নামের শেয়ার তালিকাভুক্তির পর কখনো লভ্যাংশ না দিলেও গত দুইমাসের কম সময়ে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

এ সময়ে শ্যামপুর সুগারের দাম তিনগুণ, জিলবাংলার দাম হয়েছে ছয়গুণ। টেক্সটাইল খাতের দুলামিয়া কটনের দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে একমাসের ব্যবধানে।

লোকসানে থাকা জিকিউ বলপেনের দাম হয়েছে সাড়ে তিনগুণ। সাভার রিফ্যাক্টরিজের দামও তিনগুণ পার করেছে ২ মাসের কম সময়ে। তুলনামূলক কম পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতেই এ ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করা যায় বলে জানান বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিবিএ-এর সাবেক পরিচালক আহমেদ রশীদ লালি বলেন, জেড গ্রুপ এমনিতে একটা ডিসকারেঞ্জ গ্রুপ। এছাড়াও যেসব কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ; সেসব কোম্পানিগুলোকে রেড গ্রুপে ফেলতে হবে।

কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গুজব ও অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে পুঁজিবাজারের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন এই মার্চেন্ট ব্যাংকার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেখা দিয়েছে কতিপয় প্রতিষ্ঠানে আবারও শেয়ার দাম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে এবং লেনদেনও বেড়েছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্তক থাকার প্রয়োজন।

পুঁজিবাজারের নিম্নমানের জেড শ্রেণির প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি বেশকিছু নীতি গ্রহণ করেছে।

Development by: webnewsdesign.com