‘ইন রিলেশনশিপ’টিকিয়ে রাখার সেরা ৫ টি উপায়

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ | ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

‘ইন রিলেশনশিপ’টিকিয়ে রাখার সেরা ৫ টি উপায়

‘ইন রিলেশনশিপ’ স্টাটাস। কাল দেখবেন সিঙ্গল।‘তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই, তোমায় ছাড়া বাঁচব না’ লেখাগুলো পুরোনো ছবির কমেন্ট বক্সে শোভা পাচ্ছে। নতুন অ্যালবামে ঠাঁই নিয়েছে নতুন বন্ধুর সাথে মিলেনিয়াম পার্কে তোলা সেলফি। ভাববেন না এসব দেখে অন্যজন চোখের জল ফেলছে, সেও প্রতিযোগিতায় নেমে এই আমার নতুন ড্রেস, আমি এখন হেব্বী আছি বলে পোস্ট শেয়ার করছে। তবে ফেসবুকের পোস্ট সত্যি কথা বলে না। রাতের বালিশ জানে চোখের জলের কথা। জানলার গ্রীল জানে মিথ্যে অপেক্ষায় জেগে থাকা। নিজেকে যদি দেবদাস না বানাতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের এই ৫টা বিষয় মাথায় রেখে প্রেম করা উচিত।(১) ঘনাদা বা টেনিদা প্রেম করলে সে প্রেম আড়াই দিনের বেশী গড়াত না একথা হলফ করে বলা যায়। জিভের ডগায় যাদের বাতেলার ফুলঝুড়ি, তারা আর যাই হোক, সত্যি বলছি প্রেম করার উপযুক্ত নয়। তুমি যতই গুল বাহাদুর হও না কেন, প্রানের মানুষের কাছে সৎ থাকাটা একান্ত জরুরী। না হলে, ধরা পড়লে প্রথমে ঝাড়, তারপরে ঘাড় ধরে বার। মাধ্যমিকে সেকেন্ড ডিভিসন পেয়েছিলে বলে যদি প্রেম না টেকে সেই ভয়ে মিথ্যে বল না। কারণ পরে তো আর সেটা স্টার মার্কস হবে না। সেকেন্ড ডিভিসন-ই থেকে যাবে। বরং পরে ব্যাপারটা সামনে এলে ক্যাঁচাল বেশী হবে। বরঞ্চ যদি লাজ ভুলে নিজের সম্পর্কে সত্যি কথা বলতে পারো তাহলে তোমার মনের মানুষের চোখে তোমার ইমেজটা আরো সুদৃঢ় হবে। তাই বলে আবার ‘জানো তো তিন বছর আগে আমার সাথে একটি মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল’ ইত্যাদি গোছের সততা দেখাতে যেও না। আমরা বলছি মিথ্যে না বলতে কিন্তু যে তথ্য সম্পর্কে চিড় ধরাতে পেরে সেগুলো চিরকালের মত গোপন রেখে দেওয়াই শ্রেয়।
(২) এখন প্রেম চারদিন পরেই বিছানাতে গড়িয়ে যায়। সে যাক, কিন্তু তাতে রোমাঞ্চ যেন ফুরিয়ে না যায়। দু’মাস পরে ধুর এটা তো টেস্ট করা হয়েই গেল এবার অন্য প্লেটে ঢুঁ মারি গোছের স্বভাব হলে তুমি এখনই কেটে পড়। কিন্তু প্রেম যদি চিরকালের মতন হয়ে থাকে তবে শরীরে আপত্তি থাকা উচিত নয়। বরং দূরে থাক সন্দেহ। যাকে ভালোবাসি তাকে অন্য কারো সাথে বেশী হাসিঠাট্টা বা আদিখ্যেতা করতে দেখলে গা জ্বলে যায় ঠিকই কিন্তু যুগের-ও তো একটা স্বভাব আছে সেটা মানতে হবে। আমাদের সকলেরই একটু উদার হতে হবে। কলেজের যে ছেলেটিকে ভালোবাসো সে অন্য ডিপার্টেমেন্টের অন্য কোনো মেয়ের মোবাইলে একটা জোকস সেন্ড করেছে বলেই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো টা বাড়াবাড়ি হবে। কিন্তু তাই বলে পুরো ঢিল দিয়ে রেখো না। অবস্থা খারাপ বুঝলে তুমিই আগে সেখান থেকে কেটে পড়। তোমার জন্যে আরো ভালো কেউ অপেক্ষা করছে। একে হারানোটা তোমার শাপে বর হবে।

(৩)এটা খুব জরুরী। তোমাকে শেয়ার করতেই হবে। তুমি সকালে উঠে কি করো, দুপুরে কি করো। আজ কি খেলে, টিভিতে কি দেখলে, কোন গানটা শুনলে। কি খেতে ভালোবাসো। তোমার প্রিয়জন কি তোমায় এগুলো বলে? তার মানে সে তোমার অ্যাটেনশান পেতে চায় এবং সে নিজেও তোমার সম্পর্কে জানতে চায়। তুমিও তার সাথে শেয়ার করো। যদি শেয়ার-ই না করতে পারলে তাহলে আর ভালোবাসা কিসের? শেয়ার করতে ভয় পেও না। জেনে রাখো, প্রেম টিকিয়ে রাখার হয়ত সব থেকে ভালো উপায়টি হল শেয়ার করা। তোমার প্রেমিক বা প্রেমিক কি তোমার সাথে কিছু শেয়ার করে না? তার মানে সে তোমার মতামতকে গুরুত্ব দেয় না।

নিজের সম্পর্কে তোমায় কিছু জানতে দিতে চায় না। তোমার সঙ্গে অন্য কিছু করতেই তার বেশী আগ্রহ। তবে এখনই কেটে পড় ওস্তাদ। ভুল রাস্তায় এগোনোর চেয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা বেটার।

(৪)তুমি তোমার প্রিয় মানুষটিকে হেব্বী ভালোবাসো। খুব ভালো কথা। কিন্তু এটা শুধু তুমি জানো। তোমার এই জানা তো আর তার কাছে হাওয়ায় ভেসে ভেসে চলে যাবে না। ‘এটুকু যদি না বুঝতে পারো, তাহলে আর ভালোবাসা কিসের?’ টাইপ মেলোড্রামা সিনেমায় ভালো লাগে। বাস্তবে মন বলে কিছু নেই কুসুম, পুরোটাই ব্রেণ। ইগো দূর হটাও এবং স্রেফ বেশি বেশি করে সময় দেওয়ার চেষ্টা কর। না চেষ্টা নয়, সময় দাও। দিতেই হবে। সময়-ই যদি না দিতে পারো তাহলে আর ভালোবাসার কি দরকার। জেনে রেখো বারাক ওবামা-ও নিজের বউ মেয়ে নিয়ে শপিং করতে যান, তাজমহলে বসে হাওয়া খান। আর তুমি তো স্রেফ তুমিই।

(৫) ভেবেছ বাড়িতে জানাবে না আর প্রেম টিকিয়ে রাখবে!! অসম্ভব। তুমি কচু জান। যদি এই তোমার সেই হয় তাহলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা কর এবং যে যার বাড়িতে পুচুক করে সুসংবাদটা দিয়ে দাও। এখনকার দিনে সাধারণত প্রেম করাটা কেউ বাঁধা দেয় না। বরং প্রেম করছ জানলে বাবা মা যেন একটু নিশ্চিন্তই হবে। মেয়ের পরীক্ষার সময় হবু শাশ্বুড়ী তোমাকেই ফোন করে বলবে, বাবা চুমকিকে একটু বাইকে করে ছেড়ে দিয়ে এসো না। আমার মাথাটা খুব ধরেছে। তবে চিরদিনই তুমি যে আমার টাইপ কেস হলে এবং বাবা যদি অমরিশ পুরী হয় তখন কি হবে সেটার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।

Development by: webnewsdesign.com