শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি বিশিষ্টজনের

রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০ | ১:৪৫ অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি বিশিষ্টজনের

চলতি অর্থবছর ইন্টারনেটের বিলের ওপর আরোপ করা অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল শনিবার(২৫ জুলাই) ৪৪ বিশিষ্টজন এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অধ্যাপক মো. জাফর ইকবাল, সেলিনা হোসেন, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও রাশেদা কে. চৌধূরী প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব ক্রমাগত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাও ক্রমশ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ছাড়া সব ধরনের শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কঠিন। এসময় মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর/ভ্যাটের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

 

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে দুই ধাপে (ব্যান্ডউইথ পাইকারি কেনা এবং খুচরা বিক্রির জন্য) ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩২ দশমিক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগে যেই মাসিক বিল এক হাজার টাকা ছিল এখন সেখানে এক হাজার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হবে। এটা অবশ্যই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্য অর্জনের পরিপন্থি।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন পিছিয়ে যাবে। এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব অর্জন হোচট খাওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পাবে। সুবিধাভোগী এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মধ্যে বৈষম্য বাড়বে। মুজিব বর্ষে এমনটি হওয়া কখনই কাম্য নয়।

আমরা আশা করছি, সরকার বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবেন। তবে এজন্য সময়ের প্রয়োজন। তাই এই অন্তবর্তীকালের জন্য ইন্টারনেট বিলের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট মওকুফ এবং মোবাইল ফোনের কল রেটের ওপর মূল্য ছাড় দিয়ে সরকার প্রযুক্তি সেবা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুয়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার পথ সুগম করবেন, এটা আমাদের জোর দাবি।

Development by: webnewsdesign.com