ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: ১৫ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:১৩ অপরাহ্ণ

ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: ১৫ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল হক।

চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন- মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল (৫০), মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মদ শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম (২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২), মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩), মো. মহিউদ্দিন (১৮), মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭), ওয়াসিম ওরফে মো. অসীম আহম্মদ (১৪)। এর মধ্যে আসামি মো. মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকি ১৪ আসামি কারাগারে আছেন।

 

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় চার্জশিটটি এলে বিচারকের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।

নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।

Development by: webnewsdesign.com