রাজশাহীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

রবিবার, ২৮ জুন ২০২০ | ১২:১৬ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ জুন) তার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম কলেজে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা ও মহানগর কমিটি যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

 

জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান শেষে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সহযোগিতায় করোনাকালে সংকটে থাকা প্রায় ৫০০ মানুষের মাঝে আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির জেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো কামরুজ্জামান, নগর কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড সুজিত সরকার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ¦ল, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাদশা, শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম পাপ্পু প্রমুখ।

 

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক- পেশাজীবী, ছাত্র-নারী-মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সমন্বয়ে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি জাহানারা ইমাম ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠন করেন।

 

এই কমিটির উদ্যোগেই ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ান্দী উদ্যানে আয়োজিত গণ-আদালতে গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার হয়। আড়াই বছর এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন লেখক ও সমাজকর্মী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে মশাল তিনি জাতির হাতে তুলে দিয়েছিলেন তারই আলোকে আজ বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম তারই ঝান্ডা বহন করে এগিয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে। ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম।

Development by: webnewsdesign.com