রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে সর্বস্তরে চলছে ব্যাপক-আলোচনা সমালোচনা!

নানাবিধ সমস্যায় ক্ষুব্ধ সদস্যরা

শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ | ৮:১৭ অপরাহ্ণ

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে সর্বস্তরে চলছে ব্যাপক-আলোচনা সমালোচনা!

দীর্ঘদিনের দাবি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ২০১৬ সালের আইন (প্রয়োজনী সংখ্যক ধারা) সংশোধন এবং নানাবিধ সমস্যা সমাধানে এক ও অভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীকে নিজস্ব ক্ষমতা, আধুনিকায়ন করা, নামকরণ, জনবল বাড়ানো, ড্রেসকোড রেগুলেশন প্রবর্তন, বেতন বৈষম্য, লজিস্টিক সাপোর্টসহ নানাবিধ ক্ষোভে বিক্ষুদ্ধ সদস্যরা।

 

দীর্ঘদিন ধরেই নানা বঞ্চনার মধ্যেই ঝুঁকির মধ্যেই রেলের সম্পদ রক্ষাসহ নানাবিধ কর্মতৎপরতায় কাজ করছেন আরএনবির দায়িত্বশীলরা। এসব নিয়ে আইন সংশোধনের একটা কমিটি করে প্রস্তাবনাও তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবেই প্রস্তাবনা তৈরি হলেও শুরু হলো ‘সিস্টেমের গোন্ডগোল’। নিয়মলঙ্ঘন, অতিউৎসাহী, অফিসিয়াল নানা তথ্য ফেসবুকসহ নিয়ম বর্হিভূত গোপনে ফাঁসসহ নানা কারণে রেলওয়ে এবং নিজস্ব বাহিনীর উপর থেকে শুরু করে সর্বস্তরে চলছে ব্যাপক-আলোচনা সমালোচনা। দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। তবে বাহিনীর আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তৈরি করা একটি কপি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাহিনীর একাধিক সদস্য বলেন, আরএনবিতে নানাবিধ ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করছি প্রতিনিয়ত। সেই তুলনায় কিছুই পাচ্ছি না। নানাবিধ সমস্যায় থাকতে হয়। সবকিছু যাছাই-বাছাই করেই আমাদের ন্যায্য দাবি আশা করছি। ক্ষোভ, কারও ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়মলঙ্ঘন, অসম্মান, অতি-উৎসাহিতা কামনা করি না। শুধু একটাই দাবি সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বাহিনীর স্বার্থেই প্রস্তাবনা দেয়া হলে আশা করছি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। অন্যতায় রেলওয়ে ও বাহিনীর দায়িত্বশীলদের মধ্যে নানা ক্ষোভ, বিশৃঙ্খলা, ধুম্রজাল সৃষ্টি হবে বলে জানান তারা। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর আইন সংশোধন বিষয়ে লিখিতভাবে কোন কাগজ পাইনি। তাছাড়া এসব বিষয়ে কি হচ্ছে বা কি হবে সেটাও জানেন না বলেও জানান তিনি।

 

আরএনবি-২০২৬ আইন সংশোধন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (তৎকালীন সহকারী কমান্ড্যান্ট-সদর-পূর্ব) বলেন, আরএনবিকে আরও আধুনিকায়নের জন্য আইন সংশোধনসহ নানাবিধ বিষয়ে একটা প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এটি ৯ ফেব্রুয়ারি-২০২০ সালে তৎকালীন চিফ কমান্ড্যান্ট (ইকবাল হোসেন) বরাবরে প্রস্তাবনাটি জমা দেয়া হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে থাকায় স্ব-উদ্যোগে সচিবের ক্ষমতাবলে অতিরিক্ত সচিব (আইন ও ভূমি), রেলপথ মন্ত্রণালয় বরাবরে জমা দিয়েছি এবং সেটি সকলকে অনুলিপিও দেয়া হয়েছে। এটি গোপনীয় কিছু নই। রেলওয়ের অধীনেই আরএনবি কাজ করে।

 

তিনি বলেন, ফেসবুকে দেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা চেয়েছেন, আমি সবকিছুর ব্যাখ্যা জেনেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্থানে দেয়া হয়েছে। এখানে আইনের কোন লঙ্ঘন হয়নি এবং চিঠির ব্যাখ্যাও দিবেন বলেও জানান তিনি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাহিনীর সাবেক দু’জন চিফ কমান্ড্যান্ট (সিসিআরএনবি) বলেন, এই বাহিনীর নিজস্ব ক্ষমতার বেশি প্রয়োজন। ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করেন সদস্যরা। রেলওয়ে পুলিশসহ অন্য বিভাগে পদোন্নতি হলেও এখানে সম্মান সূচক কোন ধরনের পদোন্নতি নেই। সরকার নানাবিধ বিষয়ে আন্তরিক। এতে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবেই এগিয়ে গেলে এটার সুফল আশা করা যায়।

Development by: webnewsdesign.com