সুইস ব্যাংকে ‘টাকার পাহাড়’ গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশিরা

শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০ | ২:৩৩ অপরাহ্ণ

সুইস ব্যাংকে ‘টাকার পাহাড়’ গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশিরা

সুইস ব্যাংক গুলোতে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড় বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও বাংলাদেশিদের আমানত ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেয়ায় ভারত-পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সুইস ব্যাংকে আমানত অনেক কমেছে । বৃহস্পতিবার, সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক সুইস ফ্রাঁর বিনিময়মূল্য ৮৯ টাকা ধরে এ হিসাব করা হয়েছে)।

বাংলাদেশ থেকে নানাভাবে অবৈধ উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ যেমন সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকেরাও দেশটিতে অর্থ জমা রাখেন। তাই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশিদের মোট অর্থের মধ্যে বৈধ–অবৈধ সব অর্থই রয়েছে।

 

সাধারণত সুইস ব্যাংক অর্থের উৎস গোপন রাখে। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ জমা রাখে। তবে কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ডে ভারতীয়দের অর্থ জমার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তার কারণ ভারত সরকারের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের এ সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থা আছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই বরং অন্যান্য জায়গায় কি পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে সেদিকে নজর দিতে হবে সরকারকে। এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি বলছেন, পাচারের টাকা ফেরত আনা গেলে করোনার দুর্দিনে অর্থনীতির জন্য কাজে লাগবে।

 

সুইস ব্যাংকে আমানতের হিসেবে ২০১৯ সালেও বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্য। গেল বছর দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের আমানত কমেছে। ভারতের কমেছে ৫.০৬ শতাংশ আর পাকিস্তানের কমেছে ৪৫ শতাংশ। বাংলাদেশের কমেছে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

Development by: webnewsdesign.com