বাজেটের ২০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দাবি বাম জোটের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ

রবিবার, ২১ জুন ২০২০ | ৬:১৬ অপরাহ্ণ

বাজেটের ২০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দাবি বাম জোটের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ

করোনা দুর্যোগে আপদকালীন বাজেট প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ করার দাবি জনিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্র ঘোষিত ১১ দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার জাতীয় সচিবালয়ে পাশে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে মিছিল সহকারে বাম জোটের নেতা-কর্মীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত আরেক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আকবর খান, কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমূখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম দুর্দশা ও অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা না দিয়ে করোনাকে পুঁজি করে ত্রাণ চুরিসহ স্বাস্থ্য খাতের চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি-লুটপাটে ব্যস্ত। সরকার সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীল সামজ-বিশেষজ্ঞদের দাবি উপো করে সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে অতীতের মতো এবারেও গতানুগতিক লুটপাটের বাজেট ঘোষণা করেছে। এই বাজেট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও তারা দাবি করেন।

সমাবেশে বলা হয়, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় করোনা পরীার ল্যাব স্থাপন করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার করোনা পরীার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য সামগ্রী ও সুরা উপকরণ কেনা ও সরবরাহের সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। করোনা সংক্রমণ ব্যাধি ফলে সকল নাগরিকের টেস্ট ও চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় খরচে করতে হবে। করোনাকালে সকল বাণিজ্যিক বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সেবা কর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদ কর্মীসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের সুরা নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালে দায়িত্ব পালনকারীদের ঝুঁকিভাতা, বীমা ও সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনায় কর্মহীনদের খাদ্য ও নগদ সহায়তা দিতে হবে। কৃষি, শিা, সামাজিক সুরা ও কর্মসংস্থান খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

Development by: webnewsdesign.com