১১৩৪ বিজিবি সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ | ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

১১৩৪ বিজিবি সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ১১৩৪ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে জারি করা গেজেট চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এদের একজনের ক্ষেত্রে সনদ বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরের হাবিলদার (অব.) মো. আবু তাহেরের ক্ষেত্রে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মুক্তিযোদ্ধার করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম লিটন ও এ কে এম আশরাফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম লিটন সাংবাদিকদের জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আইনসম্মত না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আদালত গতকাল বুধবার এক আদেশে ৭ জুনের গেজেট স্থগিত করেছেন।

গত ৭ জুন বিজিবি-এর ১১৩৪ জন সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে সরকার। এবিষয়ে বলা হয়, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১ এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৯৭১ সালের  ১৬ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এ যোগদান করা  মুক্তিযোদ্ধাদের ১১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।

এ অবস্থায় ওই বাতিলের তালিকায় হাবিলদার (অব.) মো. আবু তাহেরের নাম থাকায় তিনি সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক, উপ সচিব (গেজেট) এবং বি-বাড়ীয়ার নবীরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, দুই নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করা হাবিলদার মো. আবু তাহেরের নাম লাল মুক্তিবার্তায় রয়েছে। একারণে ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ পান।

এরপর ২০১০ সালে ৩১ মার্চ প্রকাশিত বিজিবি-এর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়ও তাঁর নাম আছে। এ অবস্থায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ১৩ মে তিনি সুবিধা তুলেছেন। তাঁকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

Development by: webnewsdesign.com