দেশের স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এমপি হারুনের

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ | ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

দেশের স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এমপি হারুনের

দেশের স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেছেন, গণস্বাস্থ্যের মত প্রতিষ্ঠান যদি কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট তৈরি করতে পারে বিএসএমএমইউ কী করে?

সোমবার সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রশ্ন তুলেন তিনি।

একইসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট ব্যবহারের অনুমতি না দেয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, দেশে তিনটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল। সেখানে করোনার কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। আইসিইউ ব্যবহার করা হয়নি। এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। অথচ গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান করোনার কিট উদ্ভাবন করেছে। সরকার এখন পর্যন্ত সেটি অনুমোদন দিচ্ছে না। এটির কী কারণ– তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটি অনুমোদন দিতে কেন এত সময় লাগছে? এটির প্রয়োজন আছে কিংবা নেই? আজকে যদি আমরা এই স্বল্পমূল্যের কিট উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারতাম তা হলে সবাই উপকৃত হতাম।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন প্রশ্ন রেখে বলেন, গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের কিছু তৈরি করতে পারে, তা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে? আজকে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আক্রান্ত হলে সরকারি কোনো হাসপাতালে যাচ্ছেন না কেন? তারা সিএমএইচে বা প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে একেবারেই ভঙ্গুর, একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে– আজকে এটিই তার প্রমাণ।

তৃণমূলে করোনা পরীক্ষায় সময়ক্ষেপণের অভিযোগ তুলে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জেলাপর্যায়ে যে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার ফল দেয়া হচ্ছে আট থেকে ১০ দিন পর। সারাবিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। আল্লাহ একসঙ্গে সারাবিশ্বকে ঘিরে ফেলেছেন। এর কারণ হলো– আজ যারা ক্ষমতায় তারা ক্ষমতার লোভে সব কিছু ভুলে গেছে। অত্যাচার-নির্যাতন করছে। সারা পৃথিবীর চিকিৎসাব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জাতীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতীয়ভাবে ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমপি। সেখানে সদর হাসপাতালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী সেই হাসপাতাল ২০১১ সালে ১০০ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। সেখানে অক্সিজেনের সিস্টেমও নেই।

Development by: webnewsdesign.com