মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, সিঁদেল ও ছিচকে চুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন সংবাদ আইন শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ এসে থাকে। করোনা প্রাদুর্ভাবে এ ক্রান্তিকালে এ সংক্রান্ত ঘটনার সংবাদ অনুসন্ধানকালে মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপরাধী চক্র কর্তৃক এসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে মর্মে নিশ্চিত হওয়ার পর সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের এসব সদস্যদের আইনামলে আনার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
২। গত ১০ জুন, ২০২০ খৃঃ রাতে গোপণ সংবাদে জানা যায়, মোহাম্মদপুর কিশলয় স্কুলের সামনে তাজমহল পার্কে কতিপয় অস্ত্রধারী সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব-২, ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানি বসিলা, মোহাম্মদপুর এর আভিযানিক দল ১০ জুন, ২০২০ খৃঃ রাত ১০ঃ৩০ ঘটিকায় তাজমহল পার্ক এলাকা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘিরে ফেলে। সেখান হতে ৮ (আট) জন অস্ত্রধারী ৬ যুবক ও ২ কিশোরকে ধৃত করে তাদের হেফাজত হতে ২ টি রাম দা, ১ টি চাপাতি, ২ টি ছুরি, ২ টি চাকু, ৫৫০ পিস ইয়াবা ও ৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
৩। আসামীরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। সময়ভেদে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, লুটতরাজ করা তাদের পেশা। জেনেভা ক্যাম্পে তাদের জন্ম এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। কৃষি মার্কেট এলাকায় প্রতিনিয়ত যে সব মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিক আপ মাল নামানোর আসে সেসব যানবাহন তাদের টার্গেট। তাদের বড় ভাইদের নির্দেশে মাল বোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিক আপ টার্গেট করে মার্কেট এলাকা থেকে অন্যত্র নিয়ে মালামাল ডাকাতি ও ড্রাইভার-হেল্পারের সর্বস্ব লুন্ঠন করে।
সময়ভেদে তারা এলাকায় ছিনতাই ও চুরি করে থাকে। মুলত তারা সকলেই মাদক সেবী। ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি করে অর্জিত অর্থ দিয়ে মাদক ক্রয় ও সেবন করে থাকে। অস্ত্রধারী হওয়ায় মাদক ব্যবসাও করে থাকে। আসামীদের মধ্যে ২ জন কিশোর অপরাধী। আসামীদের নামঃ ১। মোঃ টিপু (২৬), পিতা-মোঃ সেলিম, ২। মোঃ তৌসিফ @ টাকলি (১৯), পিতা-মিন্টু, ৩। মোঃ সনু (২৫), পিতা- মোঃ মোকাররম, ৪। আবিদ হোসেন @ সনু (৩৫), পিতা-জয়নাল আবেদীন @ জানু, ৫। মোঃ আরিফ হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ আনোয়ার আলী, ৬। আব্দুর রহমান (১৯), পিতা- মমতাজ আলী মিন্টু, ৭। মোঃ সুমন (১৫), পিতা- মোঃ ফিরোজ ও ৮। মোঃ চুন্না (১৫), পিতা-মুন্না, সর্ব সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, ডিএমপি, ঢাকা।
আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদক হেফাজতে রাখায় মোহাম্মদপুর থানায় আলাদা ৩ (তিন) টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি’র মত অপরাধ রুখতে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাব-২ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Development by: webnewsdesign.com