সোয়া ২১ কোটি টাকা আত্মসাত, আমিনুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | ৫:৩৮ অপরাহ্ণ

সোয়া ২১ কোটি টাকা আত্মসাত, আমিনুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

ভুয়া বিলের মাধ্যমে সোয়া ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ভিপি ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে তার আবেদনের ওপর শুনানি মূলতবি করা হয়েছে। হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই শুনানি মূলতবি থাকবে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। জামিন আবেদনকারী ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শরিফ আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শামসুন নাহার কনা।

ভুয়া বিলের মাধ্যমে সোয়া ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে দুদক ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেয়। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩টি বিলের মূল্যসহ ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেয় আসামিরা। অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা।

ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ছাড়া অপর ছয় আসামি হলেন-সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব), তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভুতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।

Development by: webnewsdesign.com