সারা দেশে আইসিইউ’র তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ | ৩:০৬ অপরাহ্ণ

সারা দেশে আইসিইউ’র তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কতগুলো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছে, সেগুলো কিভাবে বণ্টন হয় তার তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে শয্যা (বেড) ব্যবস্থাপনা কি আছে, তা মনিটরিংয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এক্ষেত্রে হটলাইন কিভাবে কাজ করে তারও তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ছাড়া করোনা রোগীর জন্য সারাদেশে কতটি আইসিইউ ও বেড বরাদ্দ করা হয়েছে তারও তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ তথ্য জানতে চান। আদালত আগামী ১০ জুন বুধবারের মধ্যে এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সরকারের অধীণে অধিগ্রহণ করা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠন করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ তথ্য জানতে চান আদালত।

আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করেন অ্যাডভোকটে ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আল মামুনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবিবার এ রিট আবেদন দাখিল করেন। রিট আবেদনে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা সচিব, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে বিবাদি করা হয়।

আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান শুনানিতে আদালতকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন হাসপাতাল বেড না থাকার অজুহাতে রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। ফলে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে। একারণে দেশের সকল হাসপাতালের বেড যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা যায় সেজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠন করার নির্দেশনা চেয়েছি আদালতের কাছে। এ বিষয়ে ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের রায় আছে।

তিনি বলেন, এ ধরণের কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে কোন হাসপাতালে কতটা বেড খালি আছে তা মুহুর্তের মধ্যে জানা যাবে। ফলে কোনো হাসপাতালই রোগী ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানান, কোন হাসপাতালে বেড খালি আছে তা জানার জন্য সরকারের একটি হটলাইন রয়েছে। সেখানে ফোন করলেই সব জানা যায়। সুতরাং বেড না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাবার সুযোগ নেই। উভয়পক্ষের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

Development by: webnewsdesign.com