জামিন হয়নি পুলিশের ডিআইজি মিজানের ভাগ্নের

রবিবার, ০৭ জুন ২০২০ | ৩:০১ অপরাহ্ণ

জামিন হয়নি পুলিশের ডিআইজি মিজানের ভাগ্নের

পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ভাগ্নে সাময়িক বরখাস্ত এসআই মাহমুদুল হাসানকে জামিন দেননি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার (৭ জুন) জামিনের আবেদন নিয়মিত আদালতে উপস্থাপনের জন্য তাঁর আইনজীবীকে পরামর্শ দিয়েছেন। মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর  দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

 

আদেশের পর অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আদালত জামিন দেননি। তবে নিয়মিত বেঞ্চে (নিয়মিত আদালত খোলার পর) যেতে বলেছেন। অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে গতবছর ২৪ জুন মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।

 

মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, আসামি মো. মিজানুর রহমানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে গুলশান-১-এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান কিনে তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের নামে ভাড়া দেখিয়ে নিজ দখলে রাখেন। মিজান নিজে নমিনি হয়ে তাঁর ভাগ্নে মাহমুদুলের নামে কারওয়ান বাজার শাখার ওয়ান ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। দুদক অনুসন্ধানে নামার পর সুদে-আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা তুলে নেন মিজান। এছাড়া মিজানের স্ত্রী রত্নার নামে কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডে ‘নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারে’ ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি দুই কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কেনার জন্য ২০১১ সালে চুক্তি করেন। এরইমধ্যে এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

 

এ মামলায় গতবছর ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মাহমুদুল হাসান। তবে আদালত তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এরপর ওই বছরের ৪ জুলাই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান মাহমুদুল। তবে আদালত তার আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠান। এর পর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

 

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীতে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অনুসন্ধানের জন্য গতবছর ১০ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বাদ দিয়ে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। মিজানুর রহমান এই এনামুল বাছিরকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর পরই এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Development by: webnewsdesign.com