আম্ফানের স্থলভাগে আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ-ভারতের সুন্দরবন

সোমবার, ১৮ মে ২০২০ | ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

আম্ফানের স্থলভাগে আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ-ভারতের সুন্দরবন

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের সুন্দরবন অংশ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের স্থলভাগে আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে আম্ফানে ক্ষতি কম হবে। তবে আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবর্তন হয়ে সুন্দরবন ছাড়া দেশের অন্য অংশে আঘাত হানলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থলভাগে আঘাতের সময় আম্ফানের গতিবেগ থাকবে ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। আম্ফান আঘাত হানার এখন যে লোকেশন আছে, সেটা হলো পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের যে সীমান্ত আছে সুন্দরবনের, সেটাকে সেন্টার ধরা হয়েছে। তবে এটা পরিবর্তন হতে পারে। এখনও যেহেতু সময় আছে।’

এদিকে দুপুর ৩টার তথ্য বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ৩টার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

Development by: webnewsdesign.com