‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে’ শেয়ারবাজারে ধস

রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০ | ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে’ শেয়ারবাজারে ধস

‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে’ ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে লেনদেনে আসা ৯৯ শতাংশ শেয়ার দর হারানোয় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১২ পয়েন্ট বা ৫.১০ শতাংশ পতন হয়েছিল। সূচক নেমেছিল ৩৯১৯ পয়েন্টের নিচে।

অবশ্য লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা শেষে সূচকের পতন কিছুটা কমে এসেছিল। সূচকের ওঠানামা ৩৯৫০ থেকে ৩৯৬০ পয়েন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে।

প্রথম ঘণ্টা শেষে বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৮২ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকটিকে ৩৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। এর পর আবার শেয়ারদরের সঙ্গে সূচকের পতন আবারও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শেয়ার কিনে দরপতন রোধে চেষ্টা করছে। তাদের চেষ্টার কারণে সূচকের পতন থমকে গিয়েছিল। করোনা পাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্ব শেয়ারবাজারেও বড় পতন চলছে। এমনটা দেখে মনোস্তাত্ত্বিকভাবে ভেঙে পড়ছেন দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করায় দরপতন ত্বরান্নিত হয়েছে বলে মনে করেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা।

রোববার প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এ সময় পর্যন্ত ৩৪১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হচ্ছিল। এর মধ্যে ৩২৬টিই বা ৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল মাত্র ৬টি শেয়ার। অর্থাৎ দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকা অপূর্ণ ছিল।

ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে আরও দেখা যায়, দর হারানো ৩২৩ শেয়ার ও ফান্ডের মধ্যে ২২০টির বাজারদরের পতন হয়েছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

এ সময় ডিএসইএক্স সূচক ১৮২ পয়েন্ট হারিয়ে অবস্থান করছিল ৩৯৪৭ পয়েন্টে। সূচকের পতনের হার ছিল দশমিক ৪১ শতাংশ।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়ার শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ১২৯ কোটি টাকা।

কিছু শেয়ার আজকের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হচ্ছে। এমনকি আইডিএলসি ফাইন্যান্সসহ কিছু কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। সব বহুজাতিক কোম্পানিরও শেয়ার দর হারিয়েছে।

দরপতনের মধ্যেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে (১০ শতাংশ বেশি) কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। শেয়ারটির বিপুল ক্রেতার বিপরীতে বিক্রেতা শূন্য অবস্থাও দেখা যাচ্ছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর মত দ্বিতীয় শেয়ারবাজারেও বড় দরপতনে দিনের লেনদেন চলছে। যদিও ডিএসইর তুলনায় এ বাজারের সূচকের পতনের হার ছিল তুলনামূলক কম।

প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে দেখা গেছে, সিএসইতে ১৫৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হচ্ছে। এর মধ্যে দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ১৪২টি এবং দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ৯টি শেয়ার।

সিংহভাগ শেয়ার দর হারানোয় সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৪৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ দর হারিয়ে ৭৪১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। প্রথম ঘণ্টায় এ বাজারে মাত্র সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

 

 

 

 

Development by: webnewsdesign.com