খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের গতি বাড়াতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের গতি বাড়াতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আজ তার সরকারি বাসা থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সভায় অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেন।

সভার শুরুতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা উৎপল চন্দ্রের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সভা সঞ্চালনা করেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

সভার শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের নিকট জানতে চান। বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় আশুগঞ্জ, মধুপুর, ময়মনসিংহে যে তিনটি সাইলো নির্মাণের কাজ চলছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ  দেন।

সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বলেন, করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমেছে। মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বলেন,  এই প্রকল্পের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে হয়। করোনা মহামারীর কারণে এ সমস্ত যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাই কাজের গতি কিছুটা কমেছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তবে বিভিন্ন প্রকল্পের চলমান সার্বিক কার্যক্রমে খাদ্যমন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এ্যাকশন প্ল্যান থাকা দরকার। একটা স্ট্রাটেজিক প্ল্যান এবং রোডম্যাপ থাকা দরকার। কোন কাজ কখন, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে থাকতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের আরসি ফুড, ডিসি ফুডদেরও খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিটি প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ডিপিপি অনুসারে কাজগুলো হচ্ছে কিনা সেদিকে প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও লক্ষ রাখতে হবে যাতে কাজের  কোয়ালিটি ভালো হয়।

খাদ্যমন্ত্রী প্রতিটি বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছে সর্বশেষ  জানতে চান।  এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, ইতিমধ্যেই পাঁচটি বিভাগে পাঁচটি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

এ পাঁচটি বিভাগে প্রতিটি ল্যাবরেটরির একতলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সারাদেশে ২০০ টি প্যাডি সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ত্রিশটি প্যাডি সাইলো নির্মাণের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন,  সরকার ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল বিধায় কৃষক তার ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। সরকার যদি এখন ধান  কেনা বন্ধ করে তবে ধানের বাজার মূল্য পড়ে যাবে; কম করে হলেও মন প্রতি ১০০ টাকা কমে যাবে।

তিনি চালকল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের সঙ্গে আপনারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তি মোতাবেক সঠিক সময়ের মধ্যে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করবেন। সরকারিভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা আর কোনোভাবেই হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সময় যারা সরকারকে সহযোগিতা করবে ভবিষ্যতে চালের সরকারি মূল্য যখন বেশি থাকবে; তখন এ সমস্ত মিল মালিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, আপনাদের অসহযোগিতা এবং অতি লোভের কারণে যদি সরকারকে আমদানিতে  যেতে হয় তাহলে আপনাদের জন্য তা সুখকর হবে না।

Development by: webnewsdesign.com