“কক্সবাজারের দীর্ঘ তিনবছর পর চালু হলো জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম”

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ

“কক্সবাজারের দীর্ঘ তিনবছর পর চালু হলো জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম”

রোহিঙ্গা ঢলের পর বন্ধ করে দেওয়া কক্সবাজারে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম দীর্ঘ প্রায় তিনবছর পর অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য জেলার চারটি পৌরসভা এবং ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে মাত্র ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে এই নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়েছে গতকাল সোমবার থেকে।তবে আজ মঙ্গলবার থেকে নির্দিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে এই নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায়।এর আগে গত শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ শিগগিরই জেলাবাসীর কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিবন্ধন খুলে দেওয়ার কথা জানান। এর চারদিনের মাথায় সীমিত পরিসরে হলেও চালু হলো জেলাবাসীর আকাঙ্ক্ষিত এই সেবা।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে তথা কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। এ কারণে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পুরো কক্সবাজারে জন্মনিবন্ধন কার্যত্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। যাতে রোহিঙ্গারা কৌশলে দেশের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারে।

জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ১২টি ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়াটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। জেলার ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও চারটি পৌরসভার মধ্যে প্রথমধাপে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ যথাক্রমে টেকনাফের হোয়াই্যং, উখিয়ার হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা, পিএমখালী, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডী, জালালাবাদ, খুরুস্কুল, ইসলামাবাদ এবং পোকখালী ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

শ্রাবস্তী রায় আরো জানান, নতুন করে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন পরিষদ থেকে উপজেলা জন্ম নিবন্ধন যাছাই-বাচাই কমিটির বরাবর উপস্থাপন করার পর কমিটি গুরুত্বসহকারে যাছাই করে সঠিক হলে পুনরায় অনুমোদন দিয়ে পরিষদে পাঠাবে। এর পর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদনকারীকে চেয়ারম্যান এবং পরিষদ সচিবের স্বাক্ষরযুক্ত সনদ প্রদান করবে। প্রতিটি উপজেলায় শক্তিশালী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে তারা সবদিক যাচাই করে চূড়ান্ত জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে পারেন।

ইতোমধ্যে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণের কাছে পাসওয়ার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারা (ইউএনও) ইউনিয়ন পরিষদের প্রোভাইডারদের কাছে সেই পাসওয়ার্ড প্রদান করবেন।তিনি বলেন, কোনো চেয়ারম্যান বা পরিষদের পক্ষ থেকে যদি রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া হয় বা ইস্যুর পর প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। পরবর্তীতে উক্ত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা ছাড়াও তাকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করতে পাসওয়ার্ড পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। তিনি জানান, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে আমরা জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর অনুমতি পেয়েছি।

Development by: webnewsdesign.com