কুমিল্লার দেবিদ্বারে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ বাড়িসহ ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-লুটপাট

সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০ | ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ বাড়িসহ ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-লুটপাট

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সিএনজির ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলায় তিনটি বাড়ি এবং এগারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক-ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার পান্নারপুলে এ সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। এ সময় দৈনিক যুগান্তরের কুমিল্লা ব্যুরো রিপোর্টার এবং আরটিভির উত্তর জেলা প্রতিনিধি আবুল খায়েরের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনার পর থেকে পান্নারপুল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে ঈদ উপলক্ষে সিএনজির অতিরিক্ত ৫টাকা ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে পান্নারপুল স্টেশনে ইটভাটা ব্যবসায়ী এমএ কাইয়ুম ভুইয়ার ভাতিজা ওমর ফারুকের সাথে চালকদের বাকবিতন্ডা হয়। এতে সিএনজি চালক এবং ওমর ফারুকের মাঝে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর ওমর ফারুক এলাকা থেকে দলবল নিয়ে এসে ওই সিএনজি স্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দশটি সিএনজি এবং তিনটি দোকান ভাংচুর করা হয়।

 

পরে দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উভয় গ্রæপ আগামী ১২ই আগস্ট সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি সুরাহা করে নিবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনার পর সিএনজি চালক এবং হাতাহাতির ঘটনায় জড়িতরা যার যার বাড়িতে চলে গেলে ওমর ফারুকের চাচা এইচবিসি নামক ইটভাটার পরিচালক সাইদুর রহমান ভুইয়া (সবুর) এবং দেলোয়ার হোসেন ভুইয়ার নেতৃত্বে ওমর ফারুক ভুইয়া, হাবিব, সালাউদ্দিন, আলামিন, জহির, ইব্রাহীম, পলাশ, ইকরাম, ইনজাম সহ অর্ধশতাধিক বখাটে পুনরায় পান্নারপুলে এসে এগারটি দোকানে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। এসময় ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা নগদ অর্থ এবং মালামাল লুটে নেয়া হয়।

পান্নারপুল স্ট্যান্ডে এসব তান্ডব ঘটানোর পর একটু অদূড়ে সাংবাদিক আবুল খায়ের, সিদ্দিক ব্যাপারী এবং মালেক মিয়ার বাড়িতেও অতর্কিতভাবে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় হামলার আলামত নস্ট করার জন্য বাড়িতে থাকা সিসি টিভি ক্যামেরাগুলো ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কয় পান্নারপুল এলাকায় অতিরিক্ত ৩০ জনের অধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে কোন প্রকার ইস্যু ছাড়াই সাংবাদিকের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ সচেতন মহলে মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম দেবিদ্বার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সাংবাদিক আবুল খায়ের জানান, এসব ঘটনায় আমি কোন পক্ষের সাথে জড়িত নই এবং ঘটনাটি সিএনজিচালক এবং যাত্রীদের মাঝে ঘটেছে কিন্তু কোন প্রকার ইস্যু ছাড়াই আমার বাড়িসহ আশপাশের তিনটি বাড়ি কি কারনে ভাংচুর করা হলো তা বোধগম্য নয়।

 

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন কোন প্রকার ইস্যু ছাড়াই সাংবাদিকের বাড়ি সহ আশপাশের তিনটি বাড়িতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায়

Development by: webnewsdesign.com