তিন বছর পর হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পেলো ছেলে

শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০ | ৯:১৮ অপরাহ্ণ

তিন বছর পর হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পেলো ছেলে

তিন বছর পর হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পেলো একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান (১৮)। বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন মা মেরিনা বেগমকে (৪৮) খুঁজে পায় সে। দীর্ঘদিন পরে মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ছেলে।

পরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে নিয়ে এলে  ছেলের কাছে থাকা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গগণ গ্রামে মেরিনা বেগমের বাড়ি। স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। ১৯৭২ সালের  ২ জুলাই তার জন্ম। তার এনআইডি নম্বর-৭৯১৮৭১৯৬৩৮৯৩৬। সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় মানসিক ভারসাম্যহীন মেরিনা বেগমকে।

ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, দিনমজুর বাবা মারা যায় প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। এর পর থেকেই মা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তাদের তিন ভাইবোনকে রেখে তিন বছর আগে হঠাৎ একদিন মা নিখোঁজ হয়। বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি।

ছয়মাস আগে আমাদের এলাকার পরিচিত এক ব্যবসায়ী শরণখোলায় এসে মায়ের মতো একজনকে দেখেছেন বলে জানান। খবর পেয়ে ওই সময়ও এসেছিলাম কিন্তু মাকে পাইনি। তখন তাফালবাড়ি বাজারের বাদল হাওলাদার নামের এক জুতার দোকানদারকে আমার মোবাইল নম্বর ও মায়ের ছবি দিয়ে গেছিলাম সন্ধান পেলে জানাতে। তিনিই মাকে দেখে আটকে রেখে আমাদের খবর দেন। পরে আমার মামা মিন্টু বেপারীকে নিয়ে মায়ের কাছে আসি। ওই ব্যবসায়ীর কারণে আজ আমার মাকে ফিরে পেয়েছি।

সন্ধানদাতা তাফালবাড়ি বাজারের জুতার ব্যবসায়ী মো. বাদল হাওলাদার বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে ওই নারীকে তাফালবাড়ি বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখি। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কখনও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে দেখিনি তাকে। প্রায়ই আমার দোকানের সামনে এসে হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকতো। দু’এক টাকা দিলে চলে যেতো। ছেলের কাছে তার মাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।

উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন হিরু, কনফেকশনারী ব্যবসায়ী খোকন শিকদারসহ বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন এই মহিলাকে রায়েন্দা বাজারে ভিক্ষা করতে দেখেছেন তারা। অন্যসব পাগলদের মতো খারাপ কথা বা পাগলামি করতে দেখেননি কেউ।

Development by: webnewsdesign.com