ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দী ২ লক্ষ মানুষ, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দী ২ লক্ষ মানুষ, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ছাতকে দ্বিতীয় দফা বন্যায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পৌরসভা সহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ২ লক্ষ মানুষ। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। আগের বন্যার রেশ কমতে না কমতেই দ্বিতীয় দফা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে মাঠের পর মাঠ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার।

শুক্রবার সকাল থেকে সুরমা নদী সহ সকল নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধি পেয়ে এখানে আবারো বন্যার সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যায় উপজেলার শ ‘শ একর বীজতলা, রাস্তাঘাট, মৎস্য খামার ও ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে। নৌপথে কার্গো ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকায় পাথর-বালু লোড ও আনলোড বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার পাথর ও বালু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরের অলিতে-গলিতে পানি ঢুকেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। পৌর এলাকার অনেক বাসাবাড়িতে আবারো বন্যার পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাতক-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ছাতকের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সাথে ১৩ টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

উজানে প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারনে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ছাতক সুনামগঞ্জে ১৮৬ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতকের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান জানান, বন্যার কারনে এখানে অসহায় হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের বন্টনের জন্য ৬০ মেট্রিকটন সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবির জানান, দূর্গতদের সহযোগিতায় ছাতক শহরে দু’টি ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দু’টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্র‍য় কেন্দ্রে থাকা লোকজনের মধ্যে রবিবার দিনব্যাপী শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com