চারঘাটে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০ | ৮:০৩ অপরাহ্ণ

চারঘাটে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার

দৈনন্দিন জীবনে ক্রমাগত বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। এসব চাহিদা মেটাতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা জুড়ে সরকারি নিয়ম না মেনে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা,

অদৃশ্য এ নীরবতাকে পুঁজি করে ফুটপাতে বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। যেসব স্থানে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করছেন সেসব স্থানে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চারঘাটের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। এসব দোকান মালিকেরা কোনো বিধি-নিষেধ মানছে না। বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। আবার এসব ব্যবসায়ীদের কাছে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রপাতি। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়ে যায়।

রাজশাহী বিভিন্ন বাজার সহ চারঘাটে ও প্রখর রোদে ফুটপাতে মজুদ করে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব এলাকার সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশিরভাগের নেই বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। যাদের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স আছে তারাও নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন না। চায়ের দোকানেও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মিলছে। মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেও বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস।

শুধু তাই নয় পান, ওষুধ, লন্ড্রি, সিমেন্ট, কসমেটিক, চাউলের আড়ৎত এমনকি লাইব্রেরিসহ ফুটপাতের ছোটখাটো দোকানেও অবাধে মিলছে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার।

যেকোনো দোকানে ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও কোনো অনুমোদন নেননি বেশিরভাগ সিলিন্ডার ‘ব্যবসায়ী’।

সরকারি নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, জ্বালানি কাজে ব্যবহার্য সিলিন্ডার গ্যাস কোনো আবাসিক এলাকা বা মার্কেটে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। গ্যাস সিলিন্ডার রোদে না রাখা, নিরাপদ দূরত্বে সিলিন্ডার মজুদ করা, উপর থেকে সিলিন্ডার নিচে না ফেলার নির্দেশনাও রয়েছে। এছাড়াও এই সিলিন্ডার বিক্রি করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়।

এলপিজি সিলিন্ডারগুলো সংরক্ষণের জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বৈদ্যুতিক সুইচ ও অন্যান্য উপকরণও থাকবে গোডাউনের বাইরের অংশে। স্থানটিও হতে হবে আগুনের ব্যবহার আছে এমন জায়গা থেকে দূরে। এমন শর্তে অনুমোদনের ছড়াছড়ি থাকলেও তদারকি না থাকায় এসব নিদের্শনা আর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না চারঘাটের ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃআব্দুর রশিদ বলেন, স্টক বেশি রাখলে অগ্নিকাণ্ডের শঙ্কা থাকে। আর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করা অনেক বিপদজনক। তাই এদিকে আমাদের সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

 

অপর দিকে বিস্ফোরক পরিদফতরের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে রাজশাহী বিস্ফোরক পরিদর্শক মোঃ আসাদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগা করা হলে তিনি শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি,

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। শিগগিরই আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব,

Development by: webnewsdesign.com