পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মোমিনুল হক (৩০) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে জাহিদ হোসেন কালা নামের এক যুবলীগ কর্মী ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। এসময় মোমিনুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম তার বোন শারমিন নাহার (৫০)। পরে গুরুতর আহত মোমিনুলকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বোন শারমিন নাহারকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বিলবিলাশ গ্রামের গাজী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। দলীয় সুত্রে জানা গেছে, মোমিনুল বাউফল সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের যুবলীগ কর্মী জাহিদ হোসেন কালা তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে স্থানীয়দের বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতো। এ নিয়ে প্রায় প্রতিবাদ করতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোমিনুল। এ নিয়ে উভয়রে মধ্যে প্রায়ই বিরোধের সৃষ্টি হতো।

মঙ্গলবার সকালে একটি শালিস বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মোমিনুল স্থানীয় বাজারে মোটর সাইকেল যোগে রওনা দেয়। মোমিনুল পশ্চিম বিবিলাস গাজী বাড়ীর সামনে রুহুলের দোকানের কাছে পৌঁছালে যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন কালা ও বাবুলের নেতৃত্বে ৫/৭ জনের একটি দল মোমিনুলের উপর হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ খবর পেয়ে মোমিনুলের বোন শারমিন মোটরসাইকেল যোগে ভাতিজা শাহারিয়ার শরিফের সাথে ভাইকে বাঁচাতে আসলে শারমিনকেও জখম করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা মোটর সাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে হামলাকারী জাহিদ হোসেন কালা ও তার ভাই জহিরকে আটক করা হয়েছে।