পটুয়াখালীরর বাউফলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ! 

বুধবার, ২৪ জুন ২০২০ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীরর বাউফলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ! 
পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে  একটি সড়ক নির্মাণে   নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ব্যপক  অনিয়ম করা হচ্ছে বলে  অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সড়কটিতে দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের ইট, যেগুলো সামান্য আঘাতেই  গুড়োঁ হয়ে যাচ্ছে।  শুধু তাই নয়, সড়কের প্রস্থ ১০ ফুটের স্থলে কোথাও বেড কাটা হয়েছে ৯ ফুট আবার কোথাও ৮ ফুট। সড়কের নিচু জায়গাগুলো লেভেল করার জন্য দেয়া হয়নি বালু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া ব্রীজ থেকে বড় ডালিমা পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ২.১৩ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কটির  নির্মাণের জন্য পটুয়াখালীর  পল্লী স্টোর নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু পটুয়াখালীর ঠিকাদার কাজটি না করে স্থানীয় এক ঠিকাদারের কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। স্থানীয় ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এবং সঠিক মাপ অনুযায়ি  রাস্তা নির্মাণ বরছেন না বলে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফর সরদার বলেন, সড়ক নির্মাণে  ইটভাটার পরিত্যক্ত তিন নম্বর ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এর চেয়ে চুলার মাটিও অনেক শক্ত।  নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করতে থাকলে এলাকাবাসীরা একাধিকবার কাজে বাধাও দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কিছুই আমলে নিচ্ছে না উপজেলা এলজিইডি। সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে  এখন নিম্নমানের  সামগ্রী দিয়েই চলছে প্রায় দের কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কের নির্মাণ কাজ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, অত্যন্ত নিম্ন মানের ইট দিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। সড়কের প্রস্থ ১০ ফুটের স্থলে কোথাও ৯ ফুট আবার কোথাও ৮ ফুট বেড কাটা হয়েছে। সড়কের নিচু জায়গা লেভেল করনে দেওয়া হয়নি বালু। কচুয়া ব্রীজের সংযোগ সড়কের পাশে পাকা ওয়ালের পরিবর্তে দেয়া হয়েছে কলাগাছ আর বাশেঁর বেড়া।  এবিষয়ে জানতে পল্লী স্টোর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক জানান, সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এ তথ্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
 বাউফলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের  প্রকৌশলী মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, ‘নির্মাণ কাজ পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি বলেন,‘ সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমান পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com