গত ২২ জুন রাতে, রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রতারক চক্রের মুলহোতা,এ এইচ এম মহিবুল আলমকে, বোয়ালিয়া থানাধিন, মাস্টার পাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে, গ্রেফতার করছে,রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।মহানগর ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে,গত ২২ জুন রাত্রী সাড়ে ৯ টায়, রাজশাহীর মোহনপুর থানা সদরের মোঃ আতিকুর রহমান(২৮), পিতাঃ-আঃ জলিল, ১) এএইচএম মহিবুল আলম(তিমু-৫০), পিতা-মৃত আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, সাং-৯৯/৮৬ শিরোইল কলোনী, থানা-চন্দ্রিমা, মহানগর রাজশাহী, ২) রোকনুজ্জামান রকি(২৫), পিতা-মোঃ শাহিন আলম, সাং-ছোট আখড়া, পোঃ-সান্তাহার, থানা-আদমদীঘি, জেলা-বগুড়াসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীদের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি), আরএমপি রাজশাহী বরাবরের নিকট লিখত অভিযোগ দেন যে, বাদী আতিকুর রহমান ও তার আরো ০৬ জন বন্ধুকে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মানাধীন রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরী দিবে বলে , আসামীগন ৫,২৭,০০০/- টাকা দেন।কিন্তু আসামীরা চাকরী না দিয়া তাদের সাথে টালবাহানা সময় ক্ষেপন করতে থাকে।

তারা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য ২২ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ১১টিার সময় বাড়ী থেকে সিএনজি যোগে চন্দ্রিমা থানাধীন শালবাগান এলাকায় নামা মাত্রই ১ ও ২ নং আসামীসহ অজ্ঞ্যাত ৪/৫ জন লোক তাদের পথরোধ করে ও হত্যার হুমকী দিয়ে চোখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে রাখে। পরে তাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ৩ টি লিখিত স্ট্যাম্পে আসামীরা ৭,০০,০০০/- টাকা পাবে মর্মে স্বাক্ষর করে নেয়।

অভিযোগ পাবার পরপরই, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মশিয়ার রহমান এর নের্তৃত্বে এসআই মোঃ মিজানুর রহমান সরকার, এসআই সুবাস চন্দ্র বর্মণসহ সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনার সত্যতা পেলে, চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ১ নং আসামী মোঃ এএইচএম মহিবুল আলম তিমু কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার হেফাজতে থাকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়।

এ সংক্রান্তে অভিযোগকারী চন্দ্রিমা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। চন্দ্রিমা থানায় ৩৪১,৩৪২৪০৬,৪২০,৩৮৬৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে, মামলা নং-১৬, তারিখ ২৩ জুন। মামলাটির তদন্ত গোয়েন্দা শাখাকে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।