পত্নীতলায় কদম গাছে গাছে ফুটেছে বর্ষা ঋতুর প্রতিক কদম ফুল 

রবিবার, ২১ জুন ২০২০ | ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

পত্নীতলায় কদম গাছে গাছে ফুটেছে বর্ষা ঋতুর প্রতিক কদম ফুল 

বাংলাদেশ। আর ফুলকে বলা হয় ঋতুর দূত বা প্রকৃতির হাসি। ঋতুচক্রের ভিন্নতায় বিভিন্ন ফুলে বাহারী রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে ওঠে প্রকৃতি। প্রকৃতির এই সাজ ও হাসিকে যুগ যুগ ধরে অব্যাহত রাখতে ঋতুতে ঋতুতে দেখা যায় চেনা অচেনা অসংখ্য ফুলের সমাহার। জানা অজানা আজ এ সব ফুল অপরুপ সাজে সাজিয়ে তুলে প্রকৃতিকে। তেমনই একটি ঐতিহ্যবাহী বনফুল হচ্ছে  কদম।

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় বাহারী সাজে বর্ষা ঋতুর প্রতিক কদম ফুলকে। তবে তার পরিমান খুব একটা বেশী নয়। আগের তুলনায় কম। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে প্রায়। আগের মত যেখানে সেখানে দেখা যায়না প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের প্রতিক এই কদম ফুল গাছকে।

বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের শুরুতেই গাছে গাছে ফোটে কদম ফুল। প্রতিবছরই কদম ফুল বর্ষার আগাম বার্তা বয়ে আনে প্রকৃতির বুকে। রাস্তার ধারে বাড়ির পাশের ঝোপ-ঝাড়ে অফিসের কোনে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে ওঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিয়েছে বর্ষার অনুভূতি। আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়ত নিয়ম।

বাঙালি ও কদমফুল একই সুত্রে গাঁথা। এই কদম ফুল বাঙালির শিল্প-সাহিত্যের এক অনন্য উৎস। মোহনীয় গন্ধে ভরপুর এই কদম ফুলকে ঘিরে বাংলা সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য কবিতা, ছড়া, গান ও উপন্যাস। প্রতিটি বাঙালিকে কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষনই বলে দেয় বর্ষা ঋতুর প্রতিক কদম ফুলের সময় এটা।

তবে বর্তমানে কদম ফুল গাছ খুব একটা দেখা যায়না বাড়ির পাশের ঝোপ-ঝাড়ে, রাস্তার ধারে বা অফিসের কোনে। প্রায় হারিয়ে যেতেই বসেছে বর্ষা ঋতুর প্রতিক এই কদম ফুল গাছ।

কিন্তু পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনও চোখে পড়ে কদম ফুল গাছ। বর্ষা ঋতুর সৌন্দর্যের প্রতিক এ কদম ফুল গাছ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সাজিয়ে তুলেছে। গাছের মগডালে ফুটে ওঠা কদম ফুলের জুড়ি নেই। কদম ফুলের সৌন্দর্যে হ্নদয়কে রাঙ্গিয়ে তুলছে এ উপজেলার মানুষ।এ যেন ফুলকে ঘিরে গ্রামীণ জীবন রঙিন হয়ে উঠেছে ।ছেলে মেয়েরা খেলছে নানা রকম খেলা ফুল নিয়ে ।

Development by: webnewsdesign.com