রাজশাহী বিভাগে ৬৫ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৭০৫, মৃতের সংখ্যা ৩৪

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ | ৪:৩৬ অপরাহ্ণ

রাজশাহী বিভাগে ৬৫ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৭০৫, মৃতের সংখ্যা ৩৪

রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন বগুড়া জেলায় মারা যান ৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। মঙ্গলবার ১৬জুন দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা শনাক্তদের মধ্যে রাজশাহীর ৯ জন, নাটোরে ৫ জন, জয়পুরহাটে ৭ জন, বগুড়ায় ১৩৯ জন, সিরাজগঞ্জে ২৯ জন ও পাবনায় ৮ জন। তবে বিভাগের অপর দুই জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।

ডাঃ গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে ৬৫ দিনে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় এক হাজার ৫১৬ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ১৪৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮০ জন, নওগাঁয় ২২০ জন, নাটোরে ৮৬ জন, জয়পুরহাটে ২৩৭ জন, সিরাজগঞ্জে ২১২ জন ও পাবনায় ২০৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৪ জন। এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে তিনজন, নওগাঁয় তিনজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ১৯ জন, সিরাজগঞ্জে তিনজন ও পাবনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ৪৬ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন ৫৮৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৭ জন, নওগাঁয় ১২৮ জন, নাটোরে ৫০ জন, জয়পুরহাট ১৩৩ জন, বগুড়ায় ১৪০ জন, সিরাজগঞ্জ ১৬ জন ও পাবনায় ২৫ জন।

ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ বলেন, রাজশাহী বিভাগে চারটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে তিনটি ও বেসরকারি একটি। এর মধ্যে রাজশাহীতে দুইটি ও বগুড়ায় একটি সরকারি। বেসরকারি ল্যাব বগুড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমনের সংখ্যাও।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

Development by: webnewsdesign.com