লক্ষ্মীপুরে প্রেমে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তবে পুলিশ সুপার বলছেন, প্রেমে বাধাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। তদন্তের পর হত্যার রহস্য পরিষ্কার হবে এবং খুব শিগগিরই ঘাতকরা গ্রেপ্তার হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মেধাবী ছাত্রী হিরামণি। পালেরহাট প্রাইভেট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সদর উপজেলার গোবিনাথপুর এলাকার হারুনুর রশীদ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে ঢাকার একটি হাসপাতালে।

তাকে দেখতে স্ত্রী তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে হিরামণিকে রেখে চলে যান ঢাকায়। এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার সাড়া না পাওয়ায় ঘরে মেঝেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন আরিফ হোসেন ও সুমন নামে দুই যুবককে আটক করে।

নিহতের দাদী খুরশিদা বেগম জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কয়েক বখাটে হিরামণিকে উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রায়ই মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতো। প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু সে তাদের কথা না শোনায় এইভাবে মরতে হলো। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের দাদী খুরশিদা বেগম।

দক্ষিণ হামছাদী ইউপি চেয়ারম্যান মীর শাহ আলমসহ অনেকে জানান, দিনে-দুপুরে ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনাটি খুবই বিভৎস। এটি কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। ঘাতকরা যেন পালাতে না পারে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি দাবি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বজনদের। ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করছে তার স্বজন এলাকাবাসী। যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এদিকে পুলিশ সুপার ড.এএইচ কামরুজ্জামান বলছেন, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেমে বাধাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। তদন্তের পর হত্যার রহস্য পরিষ্কার হবে।