মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মসজিদে আর্থিক অনুদানের জন্য প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত ৫১২ টি মসজিদের তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে ৯টি মসজিদের নাম বাদ দিয়ে ৫০৩টি মসজিদের নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান অনিয়মের কারণে তালিকা থেকে ৯টি মসজিদকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ৫০৩টি মসজিদে চেক বিতরণ শুরু করেছেন।

রোববার(৭জুন) পর্যন্ত ৪০৬টি মসজিদে চেক বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দ চেয়ে নতুন করে ১৫৬টি মসজিদের নামের তালিকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২২ মে) প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বড়লেখার ৫১২টি মসজিদের জন্য ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা করে ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেক বরাদ্দ হয়। এরপর শনিবার (২৩ মে) বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ থেকে মসজিদের তালিকা ও বরাদ্দের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ওই তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, তালিকায় একই মসজিদের নাম দুবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় এমন অনেক মসজিদের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়, বাস্তবে যেগুলোর কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি গণ-শিক্ষাকেন্দ্রকে মসজিদ দেখিয়ে অনুদানের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের তালিকায় নিজেদের এলাকার মসজিদের নাম না থাকায় কয়েকটি এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।

এ নিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান পুনরায় তালিকা যাচাই-বাছাই করেন। যাচাই-বাছাইকালে অসংগতি থাকায় ৯ টি মসজিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন বড়লেখার সুপারভাইজার মো. আব্দুল বারী বলেন, দ্রুত তালিকা করতে গিয়ে ভুলক্রমে একই নাম একাধিকবার এবং গণশিক্ষা কেন্দ্রের নাম মসজিদের তালিকায় চলে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে ৫১২টি মসজিদের বিপরীতে ৫০৩ টি মসজিদের নাম সঠিক পাওয়া যায়। বাকি ৯টির নাম তালিকায় দু’বার এবং কয়েকটি মসজিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সেগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন ৫০৩টি মসজিদের অনুকুলে অনুদানের চেক বিতরণ করছেন। ইতিমধ্যে ৪০৬টি মসজিদে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাদপড়া ৫৩টি মসজিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছেন দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া যাবে।