মাধবপুরে চায়ের দোকান নাকি মৃত্যুকূপ,

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | ৫:০৯ অপরাহ্ণ

মাধবপুরে চায়ের দোকান নাকি মৃত্যুকূপ,

হবিগঞ্জের মাধবপুরে, চা বিক্রি করছেন করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সাত দফায় ঘোষিত দীর্ঘ ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। জীবন বাঁচাতে জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে ছোট-বড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ফলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।

জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে পাড়া–মহল্লার চায়ের দোকানগুলো। যেখানে দু–একটি দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও অধিকাংশ দোকানেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই। মাধবপুর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মতে এর ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। মাধবপুর পৌর শহরের বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায় কিছু,

কিছু দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ান টাইম গ্লাস ও কাপ ব্যবহার করা হলেও অধিকাংশ দোকানেই একই কাচের গ্লাস ও কাপে পরিবেশিত হচ্ছে পানি ও চা। কিছু কিছু দোকানে কয়েকজন একসঙ্গে বসে চা পান করার পাশাপাশি পান–সিগারেট নিয়ে দিচ্ছেন আড্ডা। করোনা প্রতিরোধে সরকার যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছে সেটাও,

মানছেন না তাঁরা চা পান করতে আসা সাধারণ মানুষেরা বলছেন, বাড়িতে চা তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া সারা দিন ঘরে থাকতেও ভালো লাগে না। তাই অল্প কিছু সময়ের জন্য এসেছি চা খেতে, এখনই চলে যাব, এতে তেমন কিছু হবে না। তবে চা পান করতে আসা মানুষদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ যাঁরা জীবিকার তাগিদে,

বের হয়েছেন রাস্তায়। রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন জানান, রোদে রিকশা চালাতে চালাতে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ি, তৃষ্ণা নিবারণের জন্যই মূলত চায়ের দোকানে আসা। তবে এসব নিয়ে জানতে চাইলে অধিকাংশ দোকানি জানান, জীবনের তাগিদেই দোকান খুলতে হয়, না হলে না খেয়ে মরতে হবে। টুকটাক যা বেচাকেনা হয়, তা দিয়ে চলে সংসার তবে স্বাস্থ্যবিধি কেন মানছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এসব স্থানের অধিকাংশ মানুষ।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা,

শফিকুল ইসলাম বলেন এটি অনেক, ছোঁয়াচে একটি রোগ, তাই সরকারের সব নির্দেশনা মেনে দোকান খুলছি, নিজে সব সময় নিরাপদ থাকার পাশাপাশি সবাইকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছি হাতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ওয়ানটাইম কাপে চা বিক্রি করলেও চায়ের দাম বাড়ায়নি। ফলে প্রতি কাপে এক টাকা লাভ কম হলেও মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছি না এটাই বড় সান্ত্বনা বলেও তিনি জানান।

Development by: webnewsdesign.com