বাবুগঞ্জে চাচার সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী।

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | ৫:২৭ অপরাহ্ণ

বাবুগঞ্জে চাচার সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী।

বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এতে সারা বিশ্ব থমথমে বিরাজ করছে কিন্তু থেমে থাকে না পরকীয়া প্রেম এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলা রহমতপুর ইউনিয়ন রাহুতকাঠি গ্রামে তিন সন্তানের জননী মোসা: মলিনা বেগম (৩৫) একই গ্রামের মোঃ শওকত হাং (৬০) এর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মোঃ স্বপন আকন (৪৫) এর স্ত্রী মলিনা বেগম তিনি দীর্ঘ এক বছর যাবৎ শওকত হাং এর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে যখন মোঃ স্বপন আকন বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজে যেত তখন শওকত হাং লুকিয়ে বাড়িতে আসত এবং অনেক সময় ঘরে থাকতো স্থানীয় লোকজন তারা বিষয়টি দেখে তার স্বামী স্বপন আকনের কাছে জানায় কিন্তু স্বপন আকন বিশ্বাস করতোনা সম্পর্কে স্বপন আকনে চাচা হন শওকত হাং এবং তার‌ই পানের বড়ে কাজ করতো স্বপন আকন ।

একদিন তিনি নিজেই বিষয়টা দেখলেন দূর থেকে দেখছে শওকত হাং বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে তারপর তিনি ঘর থেকে বাহির হয়ে স্থানীয় বাজার শিকারপুর গেলেন একটু পরেই আবার বাড়িতে ফিরে এসে লুকিয়ে দেখতে পায় যে শওকত হাং তার স্ত্রীর গায়ে হাত দিয়ে ক‌থা বলছেন তারপর তিনি ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লে শওকত হাং ঘর থেকে বের হয়ে যায় তারপর তার স্ত্রী মলিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে যে তোমার গায়ে হাত দিয়ে চাচা কি করছিলে কিসের জন্য এসেছেন এই কথা শুনে তার স্ত্রী মলিনা বেগম রেগে তার গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে তাকে মারধর করে পাশেই তার বাবার বাড়ি চলে যায় কিছুদিন পর আবার ঘরে এসে যাবতীয় জিনিসপত্র ঘরের তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায় তার ভিতরে ছিল একটি ফ্রিজ একটি খাট একটি শোকেস নতুন কিছু আসবাবপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় লোকজন অনেক সালিশ মীমাংসা বসে তাতে কোনো সুরাহা হয় না কারণ শওকত হাং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা বলে সবাইকে ভয়-ভীতি দেখায়।

স্থানীয় লোকজন আরও জানায় তারা প্রায়ই দিন দেখতো মলিনা বেগম এবং শওকত হাং মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতো। এ বিষয়ে মলিনা বেগমের বাবার বাড়িতে যাই কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায় নাই এ বিষয়ে তার মার কাছে ঘটনাটি জানালে তার মা বলেন মলিনা বেগম এবং শওকত হাং এর সাথে সম্পর্ক আছে কিন্তু মলিনা বেগমের স্বামী স্বপন আকনকে তালাক দিয়ে এই সম্পর্ক করেন কিন্তু তার মার কাছে আমরা তালাক নামার এক কপি দেখাতে বললে সে দেখাতে পারে না। এ বিষয়ে মলিনা বেগমের কাছ থেকে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানায় যে আমি স্বপন আকন কে তালাক দিয়ে এসেছি তারপর আমি যাকে খুশি তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই তাতে তার কি আসে যায়। এ বিষয়ে শওকত হাং কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ১০-১২ বার তাকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে না এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

Development by: webnewsdesign.com