পটুয়াখালীর বাউফলে যৌন হহয়রানির অভিযোগে ডাক্তার গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফলে যৌন হহয়রানির অভিযোগে ডাক্তার গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর বাউফলে  একটি ক্লিনিকের এক নারী কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই ক্লিনিকেরই পরিচালক মন্ডলীর সদস্য এক ডাক্তারকে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে বাউফল  পাবলিক মাঠ সংলগ্ন জাহাঙ্গীর টাওয়ারের ৩ য় তলার একটি  ফ্লাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম ডা. মো. শাহ আলম (৬৫)।  তিনি এক সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

তার বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামে।   অভিযোগ সূত্রে  জানা গেছে, বাউফল  পৌর শহরের হাসপাতাল রোডে “বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের” এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ও  ক্লিনিকটির পরিচালক মন্ডলীর সদস্য ডা. মো. শাহ আলম ক্লিনিকে কর্মরত এক ফিজিসিয়ান নারী কর্মীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে যখনই ওই নারী কর্মী  প্রতিবাদ করতো তখনই তাকে চাকুরীচ্যুত করার ভয় দেখানো হতো।  গতকাল সোমবার (৭ জুন) ডা.শাহ আলম ওই নারীকে ক্লিনিকের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে শরীর ম্যাসেজ করায়।

এ বিষয়ে ওই নারী ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লিনিকের অন্য পরিচালকের কাছে ঘটনাটি অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পায়নি। উপরন্ত হয়রানীর বিষয়টি যাতে ওই নারী কোথাও প্রকাশ না করে এর জন্য উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওই নারী কর্মী সোমবার রাতে ডা. শাহ আলম ও বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের পরিচালক মো. জলিল ও হুমকিদাতা এন এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামি করে বাউফল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর সোমবার রাতেই পটুয়াখালী সার্কেলের (বাউফল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ডা. শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা না খোলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এরপর সারারাত পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই চিকিৎককে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, ডা. মো. শাহ আলম এ পর্যন্ত যত উপজেলায় চাকরী করেছেন সেখানেই নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িয়ে পরেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় অভিযোগ থাকায় অবসরের পরে এখনো পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।

Development by: webnewsdesign.com