ওসমানী মেডিকেলে আনসার পিসি লিটনের রামরাজত্ব, ঝুকিতে সদস্যরা

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ | ২:৩২ অপরাহ্ণ

ওসমানী মেডিকেলে আনসার পিসি লিটনের রামরাজত্ব, ঝুকিতে সদস্যরা

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার সদস্যরা করোনা সংক্রামনের ঝুকিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের নেই কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি। শুধু মাত্র একটা মাক্স পড়ে তারা একত্রে দুইটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্টানে ডিউটি পালন করছে।

 

জানা গেছে, সিলেটের জেলা আনসার অফিস থেকে তাদের জন্য পিপিই, গ্লাস ও মাক্সসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়। কিন্তু ওসমানী মেডিকেলের আনসার পিসি রফিকুল ইসলাম লিটন ও পিসি বশির আহমদ তারা আনসার সদস্যদের মধ্যে বিতরণ না করে অনত্র তাদের দেশের বাড়িতে স্বজনদের জন্য পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে ওসমানী মেডিকেলের আনসার সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আনসার সদস্যরা জানান, তাদের জন্য জেলা আনসার অফিস সকল ধরণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি পিসিদের কাছে পাঠিয়েছে। পিসিরা কোন আনসার সদস্যদের দেয়নি। বদলি ভয়ে কোন আনসার সদস্য এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। তাই সকল আনসার সদস্যরা ঝুকির মধ্যে পিপিই ডিউটি পালন করছে।

 

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওসমানী মেডিকেলে আনসার পিসি রফিকুল ইসলাম লিটন ও পিসি বশির আহমদ যোগদানের পর থেকে একের পর এক কান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পতি কোন নিয়ম নীর্তির তোয়াক্কা না করেই ময়মনসিংহের দুই আনসার পিসি ওসমানীতে যোগদান করানো হয়েছে। তারা যোগদানের পর থেকে শুরু হয়েছে মেডিকেলে দূনীর্তি।
রোগীদের সাথে দালালী ও মেডিকেলের ভিতরের হাকার্সদের কাছ থেকে দুই হাতে টাকা আদায় করছে আনসার সদস্যরা। মেডিকেলের বাহিরের চেয়ে ভিতরে গিয়ে দেখা যায় আরও ভয়ংকর দৃশ্য। প্রতিটি ওয়ার্ডের গেইটের সামনে দাড়ানো থাকেন একজন করে আনসার সদস্য। তারা রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা আদায় করেন। কেউ টাকা না দিলে থাকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে টাকা দিতে বাধ্য করেন।

 

ওয়ার্ডের ভিতরে চা-বিক্রেতা ও মোবাইল ছিনতাইকারীদের প্রবেশের সোযোগ দিয়ে এদের নিকট থেকে দৈনিক আদায় করেন বড় অংকের টাকা। আর এই সকল টাকার ভাগ দিতে মেডিকেলের আনসার ক্যাম্পের পিসি রফিকুল ইসলাম লিটন ও পিসি বশির আহমদকে। পিসিরা আনসার সদস্যদের বলেন, আমাদের এখানে আসতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে।

 

উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম লিটন এর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। তবে বশির আহমদ বলেন, জেলা থেকে আশিটা পিপিই দেওয়া হয়েছে আনসার একশ জন। তাই এই পিপিই সকল আনসার সদস্যদের দেওয়া সম্ভব হবে না। কয়েকজনকে দেওয়া হয়েছে। বশিরের কথার সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি। কারণ ওসমানী মেডিকেল ও শামসুদ্দিন হাসপাতালে দেখা গেছে কোন আনসার সদস্যদের পরনে পিপিই নেই। এত পিপিই গেলো কোথায়? বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে

Development by: webnewsdesign.com