দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকরা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দু’দফায় ৩ হাজার ২শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০ টাকা।

হিলি বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকারকদের গুদামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। যে সব পেঁয়াজ ভালো, সেগুলো পাইকারদের কাছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। গরমের কারণে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। সামান্য নষ্ট হওয়া পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বিক্রি করছে ১৮ টাকা। আবার বেশি নষ্ট হওয়াগুলো বিক্রি করছে ১৪ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা প্রথম চালানের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ছিল ২৫ থেকে ২৬ টাকা। দ্বিতীয় দফায় আমদানিকরা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, আমদানি বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম। ৪ দিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ২৬ টাকা। এখন তা কেজিতে ৩-৫টাকা কমেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকাল থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। এদিকে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা দরে। খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, আগের চেয়ে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ দরে কিনে আমরা বিক্রি করছি ২৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৩৬ টাকা দরে কিনে বাজারে বিক্রয় করছি কেজি প্রতি ৪০ টাকা। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।