সিলেটের জৈন্তাপুর বাজারে মৃত গরু জবাই করে সিলেট শহরে বিক্রয়ের জন্য নেওয়ার সময় জবাইকৃত পশুর মাংস জব্দ, মাংস বহনকারী লেগুনা আটক করা হয়। পরে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে আটকৃকত গরুর মালিক লুৎফুর রহমানকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মাংস জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জৈন্তাপুর পূর্ব বাজারে‘র ভিতর গরু বাজার সেড’এ চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসা রোগাক্রান্ত গরু ডাক্তারী পরীক্ষা নিরিক্ষা এবং কোন প্রকার ছাড়পত্র না নিয়ে জবাই করে সিলেট শহরে বিক্রয়ের জন্য আসছিলেন গরুর মালিক লুৎফুর রহমান।
স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুছ, রহিম আলী, মোবারক হোসেন, বাবুল মিয়া, আব্দুল মন্নান সহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বাজারের মসজিদের ইমাম সাহেবকে এই গরু জবাই করার জন্য বললে তিনি গরু জবাই করেননি।
পরে নিজেরাই গরুটি জবাই করে একটি লেগুনা গাড়ী (নং সিলেট-ছ-১১-১২৮৯) যোগে সিলেটে নেওয়ার চেষ্টা করে।
জবাইকৃত গরুর মাংসের পঁচা দূর্গন্ধ বাজার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে জবাইকৃত গরুর মাংস জব্দ, মাংস বহনকারী লেগুনাকে গাড়ীকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটকৃকত গরুর মালিক লুৎফুর রহমানকে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এবং দূর্গন্ধযুক্ত পঁচা মাংস জনম্মুখে পুড়ে ফেলেন।
জানা গেছে, বাজার ইজারা‘র শর্ত অনুযায়ী পশু জবাই করতে হলে অবশ্যই আগে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু এই গরুর মালিক তা করেননি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সীমান্ত এলাকায় গরু মারা গেলে চোরাকারবারী দ্রুত জবাই করে সিলেট শহরের বিভিন্ন মাংসের দোকান ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করে থাকে।
Development by: webnewsdesign.com