যশোরে কিশোরী গণধর্ষণের মামলায় আটক ৩

রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০ | ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

যশোরে কিশোরী গণধর্ষণের মামলায় আটক ৩

যশোর শহরের এক কিশোরী অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার ও ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনা, গোপালগঞ্জ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিম কিশোরীকে দুই দফায় ৯জন ধর্ষণ করা হয় বলে জানায় পুলিশ। শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান ওরফে পুষ্প, খড়কি হাজামপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিম রিকশাযোগে শহরের বকচর থেকে মণিহার এলাকায় যাচ্ছিল। বকচর র‌্যাব ক্যাম্পের অদূরে পৌঁছালে কয়েকজন তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চাকু ঠেকিয়ে মেয়েটিকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ভয় দেখায়। এরপর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর মেয়েটির মা মামলা করেন। ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের তদন্তে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর ডিবি পুলিশ গত ২ জানুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি আল-আফসান ওরফে পুষ্পকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে রায়হান ও যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে শাকিল নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরো জানান, মামলার প্রধান আসামি পুষ্পের সাথে ভিকটিমের বন্ধুত্ব ছিল। একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পুষ্পের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর শহরের খড়কি ডাক্তারবাড়ির পেছনে একটি বাগানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক মাদক সেবন করিয়ে ৫জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় শহরের লোন অফিসপাড়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়িতে রেখে আসে তারা। সেখানে ভাগ্নে হৃদয়সহ আরও ৪জন রাতভর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে অসুস্থ ভিকটিমকে তারা হাসপাতালে ফেলে চলে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণকারীদের সকলকে শনাক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আটক করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে ডিবি ওসি মারুফ আহম্মেদ, কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

Development by: webnewsdesign.com