বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ২০২০ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৯ জনকে আটক করেছে ডিবি ও থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিপিএল ক্রিকেটের আসর ঘিরে বাজি খেলা চলছিল এ খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ২৮ হাজার ৭৮০টাকা, ২১টি মোবাইল সেট, ৭টি টিভি ও ১টি ক্যারামবোর্ড জব্দ করা হয়। বাজীকরদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ^রী ও উলিপুর থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮৯জন বিপিএলে জুয়ার বাজি খেলায় গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে উলিপুর উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রবেশনার) উলিপুর সার্কেলের আল মাহমুদের নেতৃত্বে বিপিএলে জুয়া বিরোধী অভিয়ান চালিয়ে ৩৩জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে হাতিয়া ইউনিয়নের চৌমহণী থেকে ৪জন, ধামশ্রেণি ইন্দ্রারপাড় থেকে ৭জন ও পৌরসভার কাজিরচর থেকে ২২জনকে আটক করে। এসময় ১৮টি মোবাইল সেট, ৩টি টিভি ও ১টি ক্যারামবোর্ড জব্দ করে।
এছাড়াও ডিবি পুলিশ উলিপুর উপজেলার ময়নার বাজারে মোনায়েম এর হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিপিএল জুয়া খেলারত ১৯জন জুয়ারীকে গ্রেফতার করে।

অপরদিকে নাগেশ^রী উপজেলায় এএসপি (প্রবেশনাল) আশরাফ আলীর নেতৃত্বে উপজেলার মনিয়ারহাট, কান্দুরাহাট ও দীঘিরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জুয়ারীসহ ৩টি মোবাইল ও ২টি টিভি জব্দ করে।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী থেকে ১৮জন ও মোগলবাসা থেকে ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ১টি টিভি ও ১টি মোবাইলসেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আরো জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে ।