নড়াইলে রাস্তা বন্দ করে ব্রীজ নির্মান ঈদ সময় মানুষের চরম ভোগান্তি..!!!

শনিবার, ০১ আগস্ট ২০২০ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ

নড়াইলে রাস্তা বন্দ করে ব্রীজ নির্মান ঈদ সময় মানুষের  চরম ভোগান্তি..!!!
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার একটি প্রধান সড়কের নাম কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়ক। উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের উপজেলা সদর ও জেলা সদরে চলাচলের একমাত্র ব্যস্ততম সড়ক এটি।
উজ্জ্বল রায়  নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, প্রায় দুইমাস পূর্বে সড়কটির মির্জাপুর নামক স্থানে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ ছাড়াই নড়াইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করেছে।
ঈদ সময় মানুষের ভোগান্তি চরমে  সময় সড়কটি বন্ধ করে ব্রীজ নির্মাণের কাজ করায় ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী দুই লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে, প্রায় দুইমাস আগে সড়কটির ওই স্থানের পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার নতুন ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রথমদিকে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর অস্থায়ী বেইলি ব্রীজ তৈরী করে সড়কটি চালু রাখা হলেও একটি ট্রাক সেটিকে নিয়ে ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়।
এরপর বিকল্প রাস্তা হিসাবে খালের অপর পাড়ে অবস্থিত পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষসহ যানবাহন চলাচল শুরু করে। কিন্তু ব্যস্ততম ওই সড়কের যাত্রী বোঝাই ও মালামাল বহনকারী শত শত যানবাহন চলাচালের কারণে বিদ্যালয়টির খেলার মাঠসহ স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় রাস্তাটি গত ১৫দিন আগে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
আর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষসহ পার্শ্ববর্তী তেরখাদা ও মোল্লারহাট উপজেলার যাত্রী সাধারণকে ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে।
উপজেলার বাঐসোনা গ্রামের রাশেদ কামালসহ একাধিক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে কালিয়ায় যেতে যাত্রীদের অধিক সময়সহ দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কয়েকজন ইজিবাইক চালক অভিযোগ করে বলেছেন, গ্রামের মধ্যের একটি সরু রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা যাত্রী বহন করছেন।
ওই ব্রীজের নির্মাণকাজের ঠিকাদার এস এম রেজাউল আলম জনদূর্ভোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ‘বিকল্প সড়কের কথা কাজের সাথে উল্লেখ নেই। সরকারি বেইলী দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরী করা হয়েছিল। একটি ভারী ট্রাক সেটিকে ভেঙ্গে ফেলেছে। নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগে অতিরিক্ত বেইলী না থাকায় সেটি আর স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ‘তিনি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ঘটনাটি নড়াইলের জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খানের মোবাইলে বহুবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। উজ্জ্বল রায়  নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

Development by: webnewsdesign.com