বাউফলে পরের মালে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ! বরাদ্দের টাকা লোপাট!

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৮:১৩ অপরাহ্ণ

বাউফলে পরের মালে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ! বরাদ্দের টাকা লোপাট!

বাউফলে এক ঠিকাদারের অনুমতি না নিয়ে তার মজুদকৃত পাথর ও বালু দিয়ে বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ২০৩ নং পশ্চিম লক্ষ্মীপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়ের পুরাতণ ভবনের পার্শ্বে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে পটুয়াখালীর আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

 

নির্মাণ কাজের জন্য বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে পাথর ও বালু মজুদ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অনুমতি না নিয়েই (চুরি করে) মজুদকৃত পাথর ও বালু ব্যবহার করে পুরাতণ বিদ্যালয় ভবনের ক্লাশ রুম ও ছাদ মোরামত এবং টয়লেট নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের নামে অবকাঠামো উন্নয়ন সরকারের ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পও স্লিপ প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে পাওয়া প্রায় আড়াই লাখ টাকার কাজ দেখিয়েছেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. শাহিন বলেন, নতুন ভবনের কাজের জন্য আমরা ৭০০ ফুট পাথর ও ১০০০ ফুট বালু মজুদ করে রাখি। প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে না জানিয়েই পাথর ও বালু নিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতণ ভবনের বিভিন্ন কাজ করেছেন। এরফলে আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয় নির্মাণ শ্রমিক মো. মোস্তফা, জসিম, সবুজ, মোহাম্মাদ গাজী, সেলিম ও কালম জানান, আমরা স্যারের নির্দেশে ওই পাথর ও বালু দিয়ে বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ করেছি। এবিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি পাথর কিংবা বালু নেয়নি। স্লিপ প্রকল্পের অনুকুলে পাওয়া টাকা দিয়ে বিদ্যালয় মেরামত করেছি। বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রিয়াজুল হকের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অবিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো।

Development by: webnewsdesign.com