পাণ্ডিয়া-কোহলি পাঞ্জা লড়াই

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৬:৪৫ অপরাহ্ণ

পাণ্ডিয়া-কোহলি পাঞ্জা লড়াই

একজনের ব্যাটিং ক্রিকেট ব্যাকরণের প্রতিটি নিয়ম মেনে চলেন। আরেকজনের ব্যাটিং যতটা না দৃষ্টিসুখকর তার চেয়েও অনেক বেশি গা জোয়ারি। একজনের খেলা দেখে যেখানে ক্রিকেটের শুদ্ধতার পূজারিও মুগ্ধ হয়ে যান, সেখানে অন্যজনের ব্যাটিংয়ের ভক্ত খুঁজতে চাইলে টি-টোয়েন্টিপ্রেমী ছাড়া উপায় নেই। বিরাট কোহলি ও হার্দিক পাণ্ডিয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, এবং কে কোনজন সেটা বুঝতে কারওর-ই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

কোহলির ব্যাটিং যেখানে টাইমিং আর পায়ের কাজের চূড়ান্ত অর্জন সেখানে পান্ডিয়ার রান তোলা মানে পেশির ব্যবহার। কবজির ব্যবহারে কোহলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া খুব কঠিন। অম্লান বদনে ফ্লিক করে বা স্কয়ার কাটে বাউন্ডারি মারতে তো আর এমনি এমনি দেখা যায় না! ওদিকে পান্ডিয়ার ব্যাটিংয়ে টাইমিংটা জরুরি হলেও শারীরিক শক্তিটাই বেশি চোখে পড়ে। দুজনের বাহ্যিক গঠনেও শারীরিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে পান্ডিয়াদের ছোটজন। কিন্তু গায়ে গতরে পান্ডিয়াকে চোখে পড়লেও পেশির শক্তিতে নাকি কোহলিই এগিয়ে আছেন। অন্তত ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আয়ারের ধারণা পান্ডিয়া ও কোহলির মধ্যে পাঞ্জা লড়াই হলে কোহলিই জিতবেন সে লড়াইয়ে।

 

পান্ডিয়া ও কোহলির মধ্যে এমন লড়াই অবশ্য আয়ার নিজ থেকে দেখতে চাননি। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো একটি ভিডিও কুইজ আয়োজন করেছিল। সে কুইজে ক্রিকেটের বাইরেও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছিল আয়ারকে। এ প্রশ্নে পান্ডিয়ার চেয়ে নিজের মুম্বাই প্রতিবেশীকেই এগিয়ে রেখেছেন আয়ার। তবে দুজনের মধ্যে কার শারীরিক গঠন ভালো-ঘুরিয়ে করা এমন এক প্রশ্নের (মূল প্রশ্ন ছিল, সৈকতে খালি গায়ে বসে থাকার জন্য কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের গঠন সবচেয়ে সুন্দর) উত্তরে পান্ডিয়াকেই বেছে নিয়েছেন আয়ার।

ভিডিও কুইজে শুধু পাঞ্জা লড়াইয়েই কোহলিকে এগিয়ে রাখেননি, অধিনায়ক ও সতীর্থ হিসেবেও কোহলির অনেক গুণের কথা বলেছেন আয়ার। ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে নাকি নিয়মিত মেসেজ চালাচালি হয় তাঁর। দুজনেই ঘড়ি নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগেও কোহলি স্তুতি শোনা গেছে আয়ারের মুখে, ‘যখন সে কথা বলে কিংবা সতীর্থদের প্রশংসা করে, অনুভূতিটা দারুণ। তরুণদের জন্য তিনি আদর্শ। যখনই মাঠে নামে মনে হয় এই প্রথম নামছে (নিবেদন ও আগ্রহে কোনো ঘাটতি থাকে না)। কখনো ক্লান্ত হয় হয় না, সিংহের মতো উজ্জীবিত। মাঠে ঢুকলেই তাঁর শরীরী ভাষা বদলে যায়। এটা সবার জন্যই শিক্ষণীয়।’

দুই সপ্তাহ পরই অবশ্য কোহলির এই শক্তির দিকগুলো দমানোর চিন্তা নিয়ে মাঠে নামতে হবে আয়ারকে। কারণ, কোহলি তো শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর মূল ব্যাটসম্যানই নন, দলটির অধিনায়কও। কোহলির কারণে পুরো বেঙ্গালুরু দল চাঙা হয়ে উঠুক, এমনটা নিশ্চয় দেখতে চাইবেন না দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক আয়ার!

Development by: webnewsdesign.com