মনে রাখবে কি জনতা হাসিনা কে…?

সোমবার, ১০ আগস্ট ২০২০ | ৭:৪১ অপরাহ্ণ

মনে রাখবে কি জনতা হাসিনা কে…?

আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের হাওর অঞ্চল গুলোতে পর্যটন পার্কের মতন রাস্তাঘাট গড়ে তুলেছেন। মানুষ কর্ম ব্যস্ততা নিয়ে বেশীর ভাগ মানুষই নিজের এলাকায় থাকেন। কোনো কোনো মানুষ সারা বাংলাদেশর ভিবিন্ন স্থানে কাজের জন্য ভ্রমন করতে হয়। তাদের মুখের প্রশংসনীয় গুনে মনের আবেগে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না।

আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যেমন দেশের উন্নয়ন ভিত্তিক কাজের উন্নত ঘটে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সাহয্যে বয়ষ্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, ঘরবাড়ী ছাড়া মানুষের বাসস্থান, কৃষকদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা, কৃষিখাতে উন্নত ফসলের বীজ সরবরাহ করা, প্রতিবন্ধীদের সহায়তা ও এতিমখানা স্থাপন। একজন মায়ের মত করে একটি সংসার কে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকেউ এরকমভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন। যা অন্য কোনো সরকারের আমলে চোখে পড়েনি। একজন মায়ের মতন যেরকম সন্তানদের প্রতি অনেক আদর স্নেহ ভালোবাসা আছে, তেমনি আবার শ্বাসনও আছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপরাধ করলে এবং তা প্রমানিত হলে কাউকেই ছাড় দেননি। দেশের বিচার ব্যাবস্থাকে নিরাপদভাবে তদন্ত করে অপারাধীদের বিচারের আওয়াতায় আনার নির্দেশ সব সময়ই দিয়ে থাকেন। নিজের দলের মানুষ হোক এবং আপন কেউই হোক কাউকেই অপারাধের বেলায় ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী।

 

২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চাঁদাবাজী-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসা ৭০% কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখের ঘুমকে দূরে রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে সব সময় কাজ করে আসছেন এবং মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদেরকেও নিজের নীতি আদর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের নীতি আদর্শে সব সময়ই অটল থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর ফেরেশতা বাচ্চাদের মতন খুব সুন্দর একটি মনও আছে। যারা উনার সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন তারা এ বিষয়টি পুরোপুরি বলতে পারবেন। দেশের সমসাময়িক যেকোনো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নিজে তদারকি করেন। তিনি ভিবিন্ন মেঘা প্রজেক্টে নিজে দায়িত্বে থেকে তদারকি করে বাস্তবায়ন করতে দেখেছে এই বাংলাদেশ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বিরল। বিগত দশকে বিদ্যুতের যে উন্নয়ন হয়েছে তা বলা বাহুল্য। শিক্ষাখাতে তিনি যে বিপ্লব দেখিয়েছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউই করে দেখাতে পারেনি। আমারা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দ্যেগে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন হবেই.. ইনশাআল্লাহ। ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ – যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস’ সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন।

এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র আয়তনের একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের নিকট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র দূরীকরণে তার ভূমিকা, জনবহুল দেশে নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুতা আনয়ন, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। মন্দার প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন উপয্ক্তু প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে মন্দা মোকাবেলায় সক্ষমই শুধু হয়নি, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথ ধারার বিপরীতে আমদানি-রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। ঋণ পরিশোধে সক্ষমতার মানদণ্ডে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের সমকক্ষতা অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ।

Development by: webnewsdesign.com