বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত এক অধিবাসীর মৃত্যুর পর গ্রাম লকডাউন করলো চীন

সোমবার, ১০ আগস্ট ২০২০ | ৬:১১ অপরাহ্ণ

বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত এক অধিবাসীর মৃত্যুর পর গ্রাম লকডাউন করলো চীন

মধ্যযুগে বিউবোনিক প্লেগকে ডাকা হতো ‌’ব্ল্যাক ডেথ’ নামে,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘সতর্কভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে’, তবে এটি ‘উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ’ নয় বলে জানিয়েছে তারা।বিউবোনিক প্লেগে একজন অধিবাসীর মৃত্যুর পর চীনের একটি গ্রামকে লকডাউন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই রোগটি ‘‘ব্ল্যাক ডেথ’’ নামেও পরিচিত।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনার পর ইনার মঙ্গোলিয়ার সুজিশিনচান এলাকার স্থানীয় বাড়িগুলোকে পরিচ্ছন্নতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মারা যাওয়া ব্যক্তি কীভাবে ওই রোগে আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়ে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে রোগটিতে এখন পর্যন্ত আর কেউ আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী শহর বাতোতৌ-এর স্বাস্থ্যকর্মীরা।

উল্লেখ্য, চীনে প্রায়ই প্লেগের সংক্রমণ দেখা দেয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মহামারি আকারে সংক্রমণের হার অনেকাংশেই কমে গেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটিতে প্লেগে আক্রান্ত হন ২৬ জন আর মৃত্যু হয় ১১ জনের।সম্প্রতি মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।মধ্যযুগে বিউবোনিক প্লেগকে ডাকা হতো “ব্ল্যাক ডেথ” নামে। অত্যন্ত সংক্রামক এবং প্রাণঘাতি এই রোগটি ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায়।

এদিকে, চীনের এই পরিস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘‘সতর্কভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে’’, তবে এটি ‘উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ’ নয় বলে জানিয়েছে তারা।এই রোগটি এক সময় ভীতিকর হলেও বর্তমানে সহজেই নিরাময়যোগ্য।

বিউবোনিক প্লেগ কী?

মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতি এক মহামারির নাম বিউবোনিক প্লেগ। এজন্যই একে ডাকা হতো ব্ল্যাক ডেথ নামে। চতুর্দশ শতাব্দীতে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপে এই রোগ প্রাণ নিয়েছিল ৫ কোটি লোকের।

 

১৬৬৫ সালের গ্রেট প্লেগে এই রোগ লন্ডন শহরের এক-পঞ্চমাংশ লোকের প্রাণ নিয়েছিল। ১৯ শতকে চীন ও ভারতে এই রোগে মারা যায় প্রায় ১.২ কোটি মানুষ।তবে বর্তমান সময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে সহজেই এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। অন্যান্য প্রাণী থেকে মাছির মাধ্যমে এটি মানুষকে আক্রান্ত করে। এই রোগে মৃত্যুর হার ৩০% থেকে ৬০%।এই রোগের লক্ষণ হলো উচ্চমাত্রার জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, বমি ভাব, দুর্বলতা এবং ঘাড় ও বগলে ফুসকুড়ি।

Development by: webnewsdesign.com