পর্যটন নগরী সিলেটের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ও স্থানীয় মানুষের বিনোদন চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পর্যটন স্পট তৈরি হচ্ছে। কোনটা প্রাকৃতিক কোনটা আবার স্থানীয় বিনোদনপ্রেমী বৃক্তশালী বা জনপ্রতিনিধি ধারা তৈরি করা।
এমনি এক পর্যটন স্পট নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানটুলা গোয়াবাড়ি এলাকায় তৈরি করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ ইলিয়াছুর রহমান। সিসিকের অর্থায়নে ও কাউন্সিলর মোঃ ইলিয়াছুর রহমানের নিজস্ব পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা পর্যটন স্পটটি তিনি তৈরি করেছেন চা বাগানের পাশে বয়ে চলা ছড়াকে কেন্দ্র করে ছড়ার উপর ব্রিজের মতো করে আকর্ষণীয় ওয়াক ওয়ে তৈরি করে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের সুনাম কুড়াচ্ছেন তিনি।
ওয়াক ওয়ে তৈরির সাথে সাথে এখানে প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। এই ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বেড়েছে।
রোববার (২ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়দের পাশাপাশি দুর দুরান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণের দর্শনার্থী এসেছেন এখানে।
এদিকে পাহাড় আর পাথর বেয়ে আসা স্বচ্ছ পানির মিতালীর এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে কাছে টানে। তাই বৈশ্বিক মহামারীর অবরুদ্ধতা ছিন্ন করে পর্যটকরা ছুটে আসছেন ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে। ঘরবন্দী মানুষগুলো মুক্ত হতে পেরে দারুন রোমাঞ্চিত।
গত মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টও বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বড় অঙ্কের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা
শুকতারা রিসোর্ট চেয়ারম্যান স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসেন বলেন, ভাবছিলাম আসলে কর্মচারীদের নিয়ে কি করা যায়। এর উপরে আছে ব্যাংক ইন্টারেস্ট।
রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, পর্যটন না আসায় সিলেটে হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটির মত ক্ষতি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পর্যটন শিল্পের উপর থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন মোটেল ব্যবস্থাপক কাজি ওয়াহিদুর রহমান বলেন, সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেও যদি হোটেল-মোটেলগুলো চালু করতে পারি এতে বেতনগুলোও হতে পারে।
সিলেট বিভাগে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে পাঁচ হাজারের মতো।
Development by: webnewsdesign.com