সাহেদ-পাপিয়াদের আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে: নানক

শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০ | ১১:০৩ অপরাহ্ণ

সাহেদ-পাপিয়াদের আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে: নানক

সাহেদ-পাপিয়াদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শুক্রবার(৩১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পূর্বে তিনি এ দাবি জানান।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খসরু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সাহেদ নিয়ে আপনাদের প্রত্যেকের প্রশ্ন আছে? সাহেদরা কীভাবে দলে ঢুকে পড়ে? নিশ্চয়ই কোনো ফাঁকফোকর আছে? যে নেতার হাত ধরে ঢুকে সেই নেতার হাতকে ভেঙে দিতে হবে। শুধু সাহেদ-পাপিয়াদের হাত ভাঙলে চলবে না, তাদেরকে যারা দরজা দিয়ে ঢুকায় তাদের হাতও গুড়িয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে হবে। তাদের কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, তাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

কোনো হাইব্রিড যেন শ্রমিক লীগের আগামী কেন্দ্রীয় কমিটি ও মহানগর কমিটিতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সংগঠনের নেতাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান নানক।

তিনি বলেন, আগামী কমিটিতে ত্যাগ-তিতিক্ষায় পরীক্ষিত, যোগ্য নেতাদের জায়গা করে দেবেন। একই কথা, আমার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ,মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ; সব জায়গাতেই পাপিয়াদের সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আগামীকাল (শনিবার) বাংলাদেশে ঈদুল আজহা। একই দিন শুরু হচ্ছে শোকাহত আগস্ট মাস। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগস্ট মাসের কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানিয়ে নানক আরও বলেন, কিন্তু এই আগস্ট মাসের নামে কোনো চাঁদাবাজি কাউকে করতে দেয়া হবে না। কঠিনভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে কেউ যেন কোনো চাঁদাবাজি না করতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা হলেন এদেশের মেহনতি মানুষের কন্ঠস্বর। মেহনতি মানুষের প্রতীক। আপনাদের মাধ্যমে সারা দেশের মেহনতি মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্য এই করোনাকালীন সময়, বন্যা ও আগামীতেও যদি কোনো ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ আসে তাহলে সবকিছুতেই আপনারা মেহনতি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন নিয়ে পাশে থাকবেন।

 

তিনি বলেন, মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করবেন। এটাই আমাদের নেত্রীর আকাঙ্ক্ষা, এটাই ওনার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে আপনারা বলিষ্টভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নেত্রী। ১৬ কোটি মানুষকে তিনি ভালোবাসেন।

Development by: webnewsdesign.com